বুধবার দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার এই সম্পর্ক স্থগিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই প্রস্তাবটি মূলত প্রতীকী কারণ এটির বাস্তবায়ন হবে কিনা তা প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সরকারের উপর নির্ভর করবে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী সামরিক অভিযানের জন্য ইসরাইলের সমালোচনা করেছেন রামাফোসা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার পক্ষে ভোট দেয়ার আগে প্রিটোরিয়ায় ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে তেল আবিবে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
মঙ্গলবারের এ ভোট ২৪৮-৯১ ব্যবধানে গৃহীত হয়েছিল বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
এর আগে গাজায় ‘নিরবিচ্ছিন্ন বোমা হামলা’ চালাচ্ছে ইসরাইল এমন অভিযোগ এনে দেশটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে বেলিজ।
বেলিজ সরকার বলেন, গাজায় ইসরাইলের সামরিক আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ল্যাতিন আমেরিকান দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তারা ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
গাজায় ‘নিরবচ্ছিন্ন-নির্বিচারে বোমা হামলা’ চলছে উল্লেখ করে বেলিজ সরকার বলেন, বেলমোপান (বেলিজের রাজধানী) ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত আইনাত ক্রানজ-নেইগারকে স্বাগত জানানো প্রত্যাহার করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে- এটি তেল আবিবে তার অনারারি কনসালের স্বীকৃতির অনুরোধ প্রত্যাহার করেছে।
বেলিজের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বর্বর হামলার মাধ্যমে ‘ইসরাইল ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।’
এরও আগে বলিভিয়া ১ নভেম্বর ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। অন্যদিকে কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাস তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। সূত্র : দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল