সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের ফলাফল নতুন করে গণনার দাবি জানিয়ে এই মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ আদতালতের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে। মমতা ব্যানার্জি ও শুভেন্দু অধিকার- উভয়ের তরফেই আইনজীবীরা এই শুনানিতে হাজির থাকবে এবং করোনার আবহে ডিভিও কনফারেন্সেই হবে মামলার শুনানি।
সম্প্রতি রাজ্যটির বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসলেও নন্দীগ্রামে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল মমতা ব্যানার্জিকে। ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,১০,৭৬৪, অন্যদিকে মমতার প্রাপ্ত ভোট ১,০৮,৮০৮, তৃতীয় স্থান অধিকারী সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখার্জি পান ৬২৬৭ টি ভোট।
যদিও গত ২ মে ভোট গণনার দিন সকাল থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছিল মমতা ও শুভেন্দুর মধ্যে। তবে বিকালেই ওই কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্তি ছড়ায়। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যায় ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। যদিও আধা ঘণ্টার মধ্যেই শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।
স্বাভাবিক ভাবেই একবার জয়, পরক্ষণেই পরাজয় ঘোষণার ফল মানতে রাজি হয়নি তৃণমূল। ফল প্রকাশের পরই পুনর্গণনার দাবি জানায় তারা। কিন্তু কমিশন তাতে সম্মতি দেয়নি।
এরপরই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতে যাবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারকে প্রাণনাশের আশঙ্কা করে একটি মেসেজও সামনে এনেছিলেন মমতা।
ওই ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন মমতা ব্যানার্জি।