1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিক সংগঠনের উদ্যোগে,অসহায় পরিবারের মাঝে চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শুরু হলো অগ্নিঝরা মার্চ জনগণের সরকারই পারবে ১৭ বছরের ধ্বংসস্তূপ পুনর্গঠন করতে- আমিনুল হক সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোজা শুরু শনিবার হাতিরঝিলে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনাটি আসলে একটি শুটিংয়ের দৃশ্য জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন ২২ বছর পর কর্মী সম্মেলন, সংস্কারসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি ভূঞাপুরে চর গাবসাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখলের পাঁয়তারা! প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামীর অফিস উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাগরপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা জামায়াতের আমীরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

‘অক্সিজেনের অভাবে কত কষ্টে মানুষ মারা যেতে পারে, সামনে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন’

রানা রহমান
  • আপডেট : রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১
  • ২৪৭ বার দেখা হয়েছে

ডা. কৃষ্ণা বলেন, ‘এবার ঈদে হাসপাতালে ডিউটি করেছি। এর আগেও ঈদে ডিউটি করেছি, কিন্তু রোগীদের অবস্থা এত শোচনীয় ছিল না। সবাই মৃত্যুর যন্ত্রণায় ভুগছেন। অক্সিজেনের অভাবে কত কষ্টে একজন মানুষ মারা যেতে পারে, সামনে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। অক্সিজেন সাপ্লাই থাকার পরও নিতে পারছে না। কারণ, তাদের ফুসফুস অক্সিজেন নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।’

ডা. কৃষ্ণা বলেন, ‘পিপিই পরে আমরা ডিউটি করি। দম বন্ধ অবস্থায় এই পোশাক পরে ডিউটি করতে হয়। যেখানে ডিউটি করি সেখানে এসি নেই। না থাকাটাই স্বাভাবিক। এই পোশাকে অক্সিজেন পাওয়া যায় না, চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, অনেক কষ্ট, জীবনটা মনে হয় বের হয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রথম থেকে আমরা যে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি, কোনো কিছুতেই সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ঈদের পরে করোনার ভয়াবহতা হয়তো এমন করুণ পর্যায়ে পৌঁছাবে যে রোগীকে বিছানা দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রত্যেককে অক্সিজেন দেওয়া আছে। কারো স্যাচুরেশন ৬৫, কারো ৭৫। গর্ভবতী মায়েদের কষ্ট দেখেছি। করজোড়ে অনুরোধ, এটাকে কেবল সরকার বা ফ্রন্টলাইনারদের যুদ্ধ ভাববেন না, এটা সবার যুদ্ধ। করোনাযুদ্ধ কবে শেষ হবে জানি না। এই আমি এতগুলো পজিটিভ রোগীর চিকিত্সা দিয়ে বাসায় যাব, তখন আমি কী করে পরিবারের সদস্যদের কাছে যাব? এই বাস্তবতা নিয়েই প্রত্যেক চিকিৎসক যার যার দায়িত্ব পালন করছেন। এর শেষ কোথায়? শেষ তখনই হবে যখন আপনারা সচেতন হবেন। অনুরোধ, যুদ্ধটাকে শুধু সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনারা হাসপাতালে ভর্তি না হলেই আমরা খুশি। যে অবস্থা দেখছি, হাসপাতালে এসেও রোগী আগামীতে আর ভর্তি হতে পারবে কি না, বলা যাচ্ছে না।’

ডা. কৃষ্ণা আরও বলেন, আমাদেরও তো পরিবার আছে, স্বজন হারানোর ভয় আছে। অনুরোধ আপনাদের কাছে, যুদ্ধটাকে শুধু সম্মুখসারির ঘাড়ে না চাপিয়ে দিয়ে, সচেতন থেকে, ঘরে থেকে, মাস্ক পরে এ যুদ্ধে সামিল হন। করোনা রোগীর সাথে হাত মেলাতে হবে না। সে অবস্থা দেখছি হাসপাতালে এসে রোগী ভর্তি হতে পারবে কী না সেটা বলা যায় না। কোনো জায়গাই হয়তো থাকবে না। মনটা খারাপ, এত কষ্ট দেখা যায় না। আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে আমাদের সাহায্য করুন। দেশকে বাঁচান, নিজেদের বাঁচান। যুদ্ধে কখনো একা জয়ী হওয়া যায় না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে জয়ী হতে হয়। আমরা আপনাদের পাশে সবসময় আছি। আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com