স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অণ্ডকোষে ক্যান্সার হলে কোষ বড় হতে থাকে। এই ক্যান্সারের ঝুঁকি সাধারণত ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে, অন্য দেশের পুরুষদের তুলনায় শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের মধ্যে টেস্টিকুলার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। যদিও এই তথ্যের স্বপক্ষে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
টেস্টিকুলার ক্যান্সারের কারণ :
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টেস্টিকুলার ক্যান্সারের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন— ধূমপান লাইফস্টাইল বা ফ্যামিলি হিস্ট্রি। অর্থাৎ পরিবারের কেউ যদি আগে এই ক্যান্সারের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সময়ে সময়ে পরীক্ষা করানো উচিত। সেক্ষেত্রে কোনোরকম উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলা উচিত।
টেস্টিকুলার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ :
১. দুটির মধ্যে যেকোনো একটি অণ্ডকোষে গাঁট তৈরি হওয়া বা আকারের পার্থক্য
২. অণ্ডকোষে ভারি বোধ হওয়া
৩. পেট বা কোমরের চারপাশে অল্প ব্যথা
৪. অণ্ডকোষে তরল জমে যাওয়া
৫. অণ্ডকোষে ব্যথা অনুভব করা
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা দরকার, টেস্টিকুলার ক্যান্সারের উপসর্গ দুটির মধ্যে যেকোনো একটি অন্ডকোষে দেখা যায়। তবে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী পুরুষদের টেস্টিকুলার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি হওয়ায় এই সময়কালে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত। এক্ষেত্রে যেকোনো রকম উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।