বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দিনের শুরুতে নিউজিল্যান্ড যখন ৪০১ রান করল, কেউ কি ভেবেছিল এই রান তাড়া করে পাকিস্তান জিতবে? না, পাকিস্তান এত রান তাড়া করেনি। তবে ঠিকই জিতেছে তারা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি অবিশ্বাস্যভাবে নিজেদের করে নিয়েছে বাবর আজমের দল।
ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ৪০১ রান সংগ্রহ করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ২৫.৩ ওভারে এক উইকেটে ২০০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি। এ অবস্থায় ডি/এল মেথডে ২১ রানে জিতেছে মেন ইন ব্লুরা।
এই জয়ে বিশ্বকাপের সেমির সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল পাকিস্তান। একইসঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের কপালে। যদিও পয়েন্ট টেবিলে রান রেটে এগিয়ে কিউইরাই। তারা আছে চতুর্থ স্থানে। পাকিস্তান পঞ্চমে।
এদিন পাকিস্তানের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিক। ৪ রান করেন তিনি। তবে এই ধাক্কার পর আর পেছনে দিরে তাকায়নি পাকরা। ফখর জামান ও বাবর আজম রান তুলতে থাকেন দুরন্ত গতিতে।
চিন্নাস্বামীর একপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে কিউই বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ফখর। অন্যপ্রান্তে বাবরও দেন যোগ্য সঙ্গ। তিনি ৫২ বলে পূরণ করেন অর্ধশতক।
তাদের ঝড়ো ইনিংসের মধ্যে ব্যাঙ্গালুরুর আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। তাই দুইবার খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমবার বৃষ্টি শেষে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান। সে লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন বাবর-ফখর।
তবে দ্বিতীয়বার বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধের পর আর খেলা হয়নি। এ সময় ফখর ১২৬ ও বাবর ৬৬ রানে ব্যাট করছিলেন। ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অনুযায়ী ২৫.৩ ওভারে পাকিস্তানকে ১৭৯ করলেই চলতো। তবে তারা ২১ রানে এগিয়ে ছিল।
শেষপর্যন্ত আর খেলা না হওয়ায় বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় অবিশ্বাস্য এক জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। এর আগে রাচিন রবীন্দ্রর সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। যদিও শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো কিউইদের।