বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এই বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরে সরকারের বাজেটের চেয়ে এক দশমিক ৫৭ গুণ বেশি।
সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে এ বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো: আইনুল ইসলাম। এতে সূচনা বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
আগামী ১০ বছরে সাতটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানান আইনুল ইসলাম।
এগুলো হলো ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত করা, বৈষম্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা, ধনির সম্পদ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বণ্টন, উন্নয়নে দেশজ অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব, মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত করার সুযোগ তৈরি এবং শোভন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
আইনুন ইসলাম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট-মন্দাজনিত অনিশ্চিত বিদ্যমান। এসবের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভাবতে হবে।
অর্থনীতি সমিতির বাজেটে ২৪টি বিষয়ে ৩৪১টি সুপারিশ করা হয়। বাজেটে ১০ লাখ ২৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা আসবে রাজস্ব থেকে। অন্যদিকে এক লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে। বিকল্প বাজেটে সরকারের আয়ের উৎস ২৭টি। নতুন উৎসের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর, সেবা থেকে প্রাপ্ত কর, বিদেশী পরামর্শক ফি ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন হবে না। এই বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে দরিদ্র-নিম্নবিত্ত শ্রেণির অবস্থান থেকে শক্তিশালী-টেকসই একটি মধ্য-মধ্যবিত্ত শ্রেণি অবস্থানে উত্তরণ করা সম্ভব।
এদিকে ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৬ হাজার নয় শ’ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করতে পারেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।