গত বছরের তুলনায় এবারও আনারসের দাম কিছুটা বেশি রয়েছে। এবছর শ্রীমঙ্গল প্রায় ৪১২ হেক্টর জমিতে ও কমলগঞ্জের কিছু জমিতেও আনারসের চাষ হয়েছে।
এ দুই উপজেলার বিভিন্ন বাগান থেকে প্রতিদিন শ্রীমঙ্গলের পাইকারি বাজারের আড়তে নিয়ে আসা হয় আনারসগুলো। এই আনারসগুলো পাইকারির পাশাপাশি খোলা বাজারে বিপুল পরিমাণ কেনাবেচা হয়ে থাকে।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে উৎপাদিত আনারসগুলো প্রতিদিনই ট্রাক, পিকআপ আর ভ্যান ভর্তি করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নিয়ে যান ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ি উচু-নিচু টিলায় ষাটের দশক থেকেই এই আনারস চাষ শুরু হয়। এখানকার উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু আনারস চাষের জন্য বেশ উপযোগী। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সারা বছরই কমবেশি আনারস পৌঁছে যায়। এবার বিভিন্ন বাগানে চাষ করা আনারসের আগাম ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলনের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার আগাম আনারসের দাম কিছুটা বেশি রয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের কালাপুর মাইজদি এলাকার আনারস চাষি রশিদ মিয়া ও কমলগঞ্জের বাঘমারা গ্রামের সোবহান মিয়া বলেন, এবার আগাম ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে আনারস উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। সার ও চারার দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সব মিলিয়ে আনারসের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও যা দাম পাচ্ছেন, তাতে লাভ হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের কাচাঁমাল আড়তদার বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘এ বছর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজারে আগাম আনারস আসছে। চাষিদের কাছ থেকে কিনে তা বড় বড় পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন তিনি।
গত বছরের চেয়ে এবার রমজানের কারণে দাম কিছুটা বেশি। প্রতিটি আনারস সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০/৬০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর আনারসের দাম ছিল পিস ১০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত।’
আনারসের আগাম ফলনের বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমীন মোনালিসা বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে এবার আনারসের চাষে ফলন ভালো হয়েছে। আনারসের আগাম উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ কৃষি কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।’