রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ আগুনে ধ্বংসস্তুপ নগরীতে পরিণত হয়েছে।
এ ঘটনায় ৪৫টি রিসোর্ট, ৪০ টি রেস্টুরেন্ট এবং ৬০ টি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি বলে জানান হোটেল- মোটেল মালিক ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ১ টার দিকে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্র পাত ঘটে পরে মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা বলেন, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্র পাত ঘটে পরে মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর
খাগড়াছড়ি ও দিঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। এসময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, স্থানীয়রাও আগুন নিভাতে সহায়তা করে।
এদিকে সাজেক ইউপি সচিব বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সাজেকে আগুন লেগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রায় একশ কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। তিনি আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বলেন, আমি স্থানীয়রা মুখে শুনেছি বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
সাজেক ইউনিয়নের সচিব বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আরও জানান, প্রায় চার চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আগুন লাগার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি আরো বলেন,
সংবাদ পেয়ে দিঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম রওনা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মুক্তাকিম আহমেদ।
এদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে-
আজ সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে সাজেক পর্যটন এলাকায় শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে সাজেক অবকাশ ম্যানুয়েল রিসোর্ট সহ পার্শ্ববর্তী রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।আগুন মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা অবহিত হবার সাথে সাথে দ্রুত আগুন নির্বাপনের জন্য রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি, জোন কমান্ডার, বাগাইহাট এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এর সাথে যোগাযোগক্রমে করে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৩.৪৫ দিকে আগুনে প্রায় একপাশ পুড়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২০-১৪০ টির বেশি রিসোর্ট, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি আগুনে পুড়ে গেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয়দের নিকট হতে জানা গেছে।তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
দীঘিনালা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে,খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও এর সাথে যোগ দেয়।খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে পর্যটক ভ্রমণের উপর উপর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে ।নিকটবর্তী দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই রিপোর্ট লেখা সময়ে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল ৫ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সেনাবাহিনী, সাজেক থানা পুলিশ,সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় জনসাধারণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করেছেন বলে জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।