পবিত্র শবেবরাত আজ। মহিমান্বিত এ রাতে আল্লাহতায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মর্যাদাপূর্ণ এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দয়াময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া-দরূদ ও জিকির-আজকারে মগ্ন থাকেন। ‘শব’ অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ সৌভাগ্য।
আরবি ‘লাইলাতুল বরাত’ মানে সৌভাগ্যের রাত। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত অর্থাৎ ১৫ শাবানের এ রাতকে মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রজনী হিসাবে পালন করেন। নবীজি (সা.) বলেন, এই রাতের সন্ধ্যা থেকেই আল্লাহতায়ালা দুনিয়ার নিকটতম আকাশের প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি বুলান এবং বান্দাদের উদ্দেশে বলেন, আছো কি কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আমি তাকে ক্ষমা করব, আছো কি কোনো অসুস্থ-রোগী আমি তাকে সুস্থ করে দেব, আছো কি কোনো অসচ্ছল অভাবী আমি তার অভাব-অনটন দূর করে দেব, আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত আমি তার বিপদ দূর করে দেব।
এভাবে তিনি শেষ রাতে পশ্চিমাকাশে লাল আভা দেখা যাওয়া পর্যন্ত ডাকতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ)।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) একবার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আয়েশা তুমি কি জানো, এই রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৫তম রাতে কী হয়? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি বলুন কী হয়।
তিনি বললেন, আগামী এক বছরে যারা জন্ম নেবে এবং মৃত্যুবরণ করবে এ রাতে তাদের নাম লেখা হয়। এ রাতে আদম সন্তানদের আমলনামা উঠানো হয় এবং তাদের রিজিক অবতীর্ণ হয়। (বায়হাকি)।
শবেবরাতের পরদিন অর্থাৎ কাল সরকারি ছুটি। তবে আজ সংবাদপত্রের ছুটি। এ কারণে কাল সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না।
পবিত্র শবেমেরাজ উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের উল্লেখযোগ্য প্রতিটি মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাদ মাগরিব থেকে ‘শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে রোববার জানানো হয়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ‘শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বাদ এশা দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।