বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাদি বলেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরে তার দেশের নৌবহরের উপস্থিতিতে শত্রুরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সোমবার তেহরানে এক সামরিক অনুষ্ঠানের অবকাশে অ্যাডমিরাল খানজাদি এ মন্তব্য করেন।
সোমবারের ওই সামরিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ডেস্ট্রয়ার ‘দেনা’ এবং মাইনহান্টার ‘শাহিন’ আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়।
খানজাদি বলেন, “আটলান্টিক মহাসাগরে ইরানের নৌবাহিনীর জাহাজের উপস্থিতি এদেশের শত্রুদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।” তিনি আরো বলেন, “এমন সময় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যখন আটলান্টিক তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইরান ওই মহাসাগরে নৌবহর পাঠিয়েছে।”
ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকার গণমাধ্যম ও সরকারি কর্মকর্তারা আটলান্টিকে প্রথমবারের মতো ইরানের নৌ উপস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
ইরান সম্প্রতি আটলান্টিক মহাসাগরে পোর্ট শিপ ‘মাকরান’ এবং ডেস্ট্রয়ার ‘সাহান্দ’ পাঠিয়েছে। ইরানের নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর উপ প্রধান সমন্বয়ক রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, বিশ্বের অন্য কোনো দেশের বন্দরে নোঙ্গর না করেই একটানা সাগরপথ পাড়ি দিয়ে ইরানের দু’টি জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে পৌঁছেছে। এই প্রথমবার এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আটলান্টিকের গভীর অভ্যন্তরে পৌঁছে গেল ইরানের নৌবাহিনী।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের আওতায় ইরান নিজের কৌশলগত অধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে এ তৎপরতা চালিয়েছে এবং এ কাজ অব্যাহত রাখবে তেহরান।