বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রামে ধাওয়া খেয়ে একটি ভবনে আশ্রয় নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। পরে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে ওই ভবন থেকে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে চারজন গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে মুরাদপুর বেলাল মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জালাল উদ্দীন জুবায়ের ও ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ধীমান সেন গুপ্ত।
সোমবার সারাদেশে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে দুইপক্ষে সংঘর্ষে শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী বেলাল মসজিদের মিরদাদ ম্যানশনের ছাদে অবস্থান নেন।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাদ থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। আন্দোলকারীরা সড়ক থেকে পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরই এক পর্যায়ে আন্দোলকারীরা ওই ভবনে উঠে মারধর শুরু করে। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন। এসময় চারজন পাইপ ও জানালার কার্নিশ ধরে ঝুলে থাকা অবস্থায় নিচে পরে যান। এসময় আন্দোলনকারীরা তাদের আবারও মারধর করেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভবনের ছাদে বেশ কিছু মানুষের ভিড়। ভবনটির নিচে পড়ে আছে চারজন। তাদের ঘিরে আরও ৮-১০ জন। ঘিরে রাখাদের কয়েকজন আহত ওই তিনজনকে মারতে চাইলেও পাশ থেকে বাকিরা আর মারতে নিষেধ করছিল। ওই সময় আরও কয়েকজন ভবনের পাইপ বেয়ে নিচে নামছিলেন।
পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শাহজাদা চৌধুরী বলেন, ‘ওই ভবনে ৩০ জনের মত আটকা পড়েছিলেন। হামলাকারীদের ধাওয়ায় জালাল, ধীমানসহ কয়েকজন পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে নিচে পড়ে যান। এছাড়া ভবনে থাকাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল ও বাকিদের পার্কভিউসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
নগরের পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বলেন, ‘মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে একজন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। জালাল নামে একজন চোখে ও ধীমান পায়ে গুরুতর আহত হন।’