বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দেড়শ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭৮ রানে ৮ উইকেট হারানো খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছিল। শেষ বেলায় রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ৩৭ আশার আলো দেখালেও জয়ের বন্দরে নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ রানের পরাজয়ে আসরে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পায় মেহেদি হাসান মিরাজের দল। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৫ রান তুলতেই ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে। প্রথম ওভারের শেষ বলে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাদিকুর রহমান। খানিক পর ৩ রানে ইমতিয়াজ হোসেন বোল্ড হন শরিফুল্লার বলে। দলীয় ১৫ রানে ব্যক্তিগত এক রানে উইকেট ছুঁড়ে দেন অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি। এরপর সালমান হোসেন ঈমন এবং ফরহাদ হোসেন মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন। এই দুজনের মন্থর ব্যাটিংয়ে দলীয় ৫০ পার করে খেলাঘর।
২৭ বলে ১৪ রান করা ফরহাদ বিদায় নেন কামরুল ইসলাম রাব্বির ওভারে। ৩৫ বলে ৩৩ রান করা ফরহাদ হোসেনও ফেরেন দ্রুত। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মেহেদি মিরাজের দলের। দ্রুত আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ কঠিন করে বসে দলটি। এমন অবস্থা থেকে মিরাজের দলকে শেষ আশার আলো দেখান রিশাদ হোসেন। তার ১৯ বলে ৩৭ রানের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পেরেছে খেলাঘর। ২০ ওভারে ১৩০ রানে অল আউট হয় মিরাজের দল।
প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, এনামুল হক জুনিয়র এবং রেজাউর রহমান। এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় প্রাইম দোলেশ্বর। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইমরানুজ্জামানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে দোলেশ্বর।
ওপেনিং সঙ্গি ফজলে মাহমুদকে নিয়ে ৪ ওভার ৫ বলেই স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৫ রান। মাত্র ১৭ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান ইমরান। ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ১৪ রান। তিন নম্বরে নেমে সাইফ হাসানও দারুণ শুরু করেন। যদিও এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩৩ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। মার্শাল আইয়ুব আউট হন ২০ বলে ২১ রান করে। ১২ বলে ১৬ রান আসে শামিম হোসেনের ব্যাট থেকে।
শেষ দিকে নেমে শরিফউল্লাহ একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস। তাতেই দলীয় রান ৬ উইকেটে ১৪৯ দোলেশ্বরের। খেলাঘরের বোলাররা অবশ্য এদিন দারুণ নিয়ন্ত্রিত বল করেন। খালেদ আহমদের ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। একই সংখ্যক উইকেট নিয়েছে মাসুম খান। এই বোলার ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৩২।