বঙ্গনিউজবিডি প্রতিবেদক: আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ‘আমেরিকা বাংলাদেশ এলামনাই এসোসিয়েশন’-এর বর্তমান সভাপতি অধ্যক্ষ হাজী নুরুল ইসলাম চৌধুরী মহাবিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলার প্রিন্সিপাল ড. মোঃ আব্বাছ উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেমন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্লিপ্ততার কারণে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি থেকে ইতিমধ্যে পাশ করে যাওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্মক্ষেত্রে বিবিধ অযাচিত ঝুট-ঝামেলার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন ২০০২ ইংরেজি সালে জনৈক ইন্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি যথেষ্ট সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকলেও কিছু দিনের মধ্যে বিবিধ অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। ফলে সরকার গঠিত এক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি যথাযথ তদন্ত পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করে। এখানে উল্লেখ্য যে, বিবিধ অভিযোগের কারণে তৎকালে মোট ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উক্ত তদন্ত কমিটি সুপারিশ করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট স্টে অর্ডারের ভিত্তিতে একমাত্র দারুল এহসান ইউনিভার্সিটি ছাড়া বাকী ৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে অদ্যাবধি বেশ সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু বিপত্তি যতো ‘আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সংস্থাটির কোন দায় দায়িত্ব নাই। এই পর্যায়ে প্রিন্সিপাল আব্বাস অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন, ইউজিসি’র মতে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম অবৈধ হয়, তবে কিভাবে তা বৈধ ভাবে চলতে পারে তার ব্যবস্থা করুক। আর যদি একান্তই তা সম্ভব না হয় তাহলে ইতিমধ্যে যারা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে আমার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তাদের সনদের বৈধতা দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সবগুলো ক্যাম্পাস চিরতরে বন্ধ করে দিক। আমরা যারা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে এসেছি আমাদের অপরাধটা কি? আমাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কি কোন দায় দায়িত্ব নাই?
অবশেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য আমরা যারা ইতিমধ্যে পাশ করে এসেছি তাদের সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এতদ বিষয়ে প্রিন্সিপাল মোঃ আব্বাছ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সর্বোচ্চ অভিভাবক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।