ন্যানসি লেখেন, ‘আমি এবং জায়েদ দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছি। তবে মাঝে মধ্যেই আমাদের দেখা অথবা ফোনালাপ হয়। আমার এবং জায়েদের একমাত্র কন্যা সন্তান নায়লা তার বাবার সাথেই থাকে। নায়লাকে নিজের কাছে রাখবার সিদ্ধান্ত এককভাবে জায়েদের। যেহেতু স্বামী-স্ত্রীর বাইরেও আমরা দীর্ঘদিনের বন্ধু, কাজেই বোঝাপড়াটা মন্দ নয়। তবে নাটকীয়ভাবে বলবো না-আমরা আজীবন বন্ধু থেকে যাব। কিছু বৈরি সম্পর্ক তৈরি না হলে নিশ্চয়ই আলাদা থাকতাম না!’
তিনি আরও লেখেন, ‘কে সঠিক, কে বেঠিক এ নিয়ে ফিসফিস করবার কিছুই নেই। আমাকে অথবা জায়েদকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলেই হয়! আর হ্যাঁ, আমাদের এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। হলে নিশ্চয়ই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর নতুন জীবনে কী করবো সেটা আপাতত আমি নিজেই ভাবছি না, দয়া করে আপনারাও মানসিক চাপ নেবেন না। আপনারাও ভালো থাকুন, আমাদেরও ভালো থাকতে দিন। জীবন থেমে থাকে না, নিশ্চিত নতুন করে পথচলা শুরু করবো। তবে এটাও নিশ্চিত-আমার নতুন পথচলায় কাছের মানুষরাই আমন্ত্রিত হবেন। বহিরাগত দের প্রবেশ সম্পূর্ণ রূপে নিষেধ।’
উল্লেখ্য, প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০১৩ সালে কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যাসি ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী নাজিমুজ্জামান জায়েদকে। ২০১৪ সালে তাদের সংসারে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান আলী আফরিন নায়লা। জায়েদের বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি স্থানীয় পৌরসভায় চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।