1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শীতকালীন সাহিত্য উৎসব পল্লী কবি জসীম উদ্দিন পদক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঘুরে আসুন সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে অপহরণের ২৩ দিনেও মিলেনি মাদ্রাসাছাত্র মোতাসিম বিল্লাহর সন্ধান গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন ‘সামাজিক ন্যায়বিচারে রুবি গজনবী পুরস্কার জিতল নারীপক্ষ “ ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে উঠছে নতুন আলু : দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা নিবন্ধন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনিবন্ধিত বাচ্চাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা ও পরামর্শ প্রদান নেত্রকোনা পূর্বধলায় জমি উদ্ধারের সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতিচারণ শীর্ষক ফ্যাসিবাদ বিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন নয়, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়াই হলো সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য -সুপ্রদীপ চাকমা

আলুর কেজি ৮ টাকা, লোকসানে চাষি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২১৭ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর আলু চাষ বাড়ছে এ জেলায়। দেশে আলু উৎপাদনে ঠাকুরগাঁওয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয় এখানকার আলু। কিন্তু এবার আগাম আলুর দাম না পেয়ে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা দরে। তবুও মাঠে ক্রেতা নেই।

গত বছর অধিক দামে আগাম আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এবারও লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ঝুঁকেছিলেন কৃষক। কিন্তু আগাম আলুর বাজারে ধস নামায় লোকশান হচ্ছে তাদের। গত বছর চাষীরা এই সময় প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিলেন ২৫-৩০ টাকা দরে।

চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে আগাম আলু উৎপাদন করতে সাধারণত কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭৫ মণ আলু উৎপাদন হয়। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১০ টাকার কিছু বেশি।

সাধারণত মাটিতে একবার আলু রোপণ করলে একবার ফলন পাওয়া গেলেও এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। চাষিরা এবার দুই বার আলু রোপণ করে ফলন পাচ্ছেন মাত্র একবার। আগাম আলু রোপণের কয়েকদিন পড়ে বর্ষার শেষের বৃষ্টিতে রোপণকৃত আলু মাঠেই পচে যায়। লাভের আশায় সেই জমিতে ফের আলু রোপণ করেন চাষিরা। সে কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে চাষিদের। তাছাড়া বাজার অবস্থা ভালো না থাকায় লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার ২৭ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে। আলু উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৪ টন।

বর্তমান বাজার দরে আলু বিক্রি করে প্রতি হেক্টরে (২৪৭ শতক) চাষিরা দাম পাচ্ছেন ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। আর প্রতি হেক্টর আলুর উৎপাদন খরচ হয় প্রায় ২ লাখ টাকা।

গত বছর জেলায় ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ টন।

সদর উপজেলা নারগুন এলাকার আলু চাষি আব্দুল মজিদ বলেন, আমি এবার ৩ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। গতবছর আলুর ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছিলাম, কিন্তু এবারে আলু করে ৮.৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হলো, তাও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এবারে আলু করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আমি।

ওই এলাকার আরেক চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, এবারে কীটনাশকের দাম অনেক বেশি ছিল। আর এবারে আলুর দাম কম। এবার আমাদের অনেক লোকসান হবে। এক মণ আলু বিক্রি করে একটা কামলা খরচ দিতে হয়। তাহলে হিসাব করেন আমাদের অবস্থানটা কোথায়। আমরা এবার আলু করে লোকসানে পরে গেলাম।

সদর উপজেলার সালান্দর এলাকার আলু চাষি মাজেদুর বলেন, গত বছর আলুর দাম বেমি ছিল এবং কম ফলনেও ভালো লাভ হয়। এবার বেশি ফলনেও লোকসান হচ্ছে। এবার লাভ তো দূরের কথা আসলও তুলতে পারছি না। কম দামে আলু বিক্রি করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তার পরেও নগদ টাকার ক্রেতা নেই।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, গত বছরের বাড়তি আলুর মজুদ শেষ হলে বাজারের অবস্থা ঠিক হবে আশা করছি। সেইসঙ্গে আলুর ফলন ভালো হলে চাষিদের লোকসান পুষিয়ে যাবে। চাষকৃত আলু এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আছে। চাষিদের যে কোনো পরামর্শের জন্য কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com