সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় কিছু গাছ ভেঙে পড়া ছাড়া তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার ১৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ১৮ হাজার ৩৬৬ জন মানুষ তাদের নিজ গৃহে ফিরে গেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির।
তিনি জানান, সোমবার বিকেল থেকে গৃহপালিত পশুপাখি ও মালামাল নিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা ভোরের দিকেই তাদের নিজ গৃহে ফিরে গেছেন।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, তার ইউনিয়নে অন্তত ১৮টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। কিছু যায়গায় এখনো মানুষ রয়েছেন। তারা দুপুরের মধ্যেই বাড়িতে ফিরবেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কলাপাড়া উপজেলায় কোথাও কোন দুর্ঘটনার খবর আমাদের কাছে আসেনি।
পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মহিব্বুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষে সব পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এবং আমি নিজেও ঝড়ো বৃষ্টির মধ্যে শুকনা খাবার নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়েছি। আল্লহর রহমতে আমার নির্বাচনী এলাকায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সব সময়ই সচেষ্ট থাকবো।