1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রমজানের হাফেজ নিয়োগ নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ সমাজের সার্বিক অগ্রগতির জন্য জরুরি —— বেনজির টিটো ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা নর্থ ও সাউথ জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) উপ-পরিচালকের মতবিনিময় দাউদকান্দিতে গোল্ডেন ফিউচার একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কারারক্ষী নিহত প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারসহ ১৬ জনকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মেলায় পাওয়া যাচ্ছে শেকড় সন্ধানী লেখক ও সাংবাদিক শরীফ প্রধানের ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিকতা’ বই জাতীয় প্রেস ক্লাবে কবিতাপত্র পরিষদের নিয়মিত কবিতা পাঠের আসর জামালপুর শহর সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার –

আস্থা ও মনোবলে অটুট থাকলে বিনাযুদ্ধে জয়লাভ করা যাবে : গয়েশ্বর

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
  • ১৫১ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: অঙ্গীকারের প্রতি দেশের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির সাহস, আস্থা ও মনোবল অটুট থাকলে বিনাযুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে দেশের গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহ অঙ্গীকার করেছেন। এই অঙ্গীকারের প্রতি দেশ ও জনগণের কথা মাথায় রেখে আস্থা, বিশ্বাস এবং মনোবল ঠিক রাখা গেলে সরকারের বিরুদ্ধে বিনাযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করতে পারব।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রমিক দলের উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হুমায়ুন কবির খান প্রমুখ।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর সকাল বেলাও সৈনিকরা জানত না একটু পরে পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানত না এরশাদকে পদত্যাগ করতে হবে। আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিচের দিকের নেতাকর্মীদের আস্ফালন দেখে মনে হচ্ছে তারাও জানেন না তাদের নেত্রী কখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো কখন আত্মসমর্পণ করে এরশাদের মতো পদত্যাগ করবেন। এই অবুঝ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলি রাস্তায় নেমে আমাদের ওপর আক্রমণ, অথবা মারামারি ও গোলাগুলি করার আগে আপনার নেত্রীর কাছে কানে কানে জিজ্ঞাস করেন, তিনি কি আত্মসমর্পণ করবেন না? যদি করে কখন? তারিখটা খুব কাছাকাছি। ১৩ বছর যেহেতু আমরা অপেক্ষা করছি, কয়েকটা দিন বা মাস এটা তো অনেক দিন না?

তিনি আরো বলেন, কারণ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বড় শক্তি অর্থনৈতিক ম্যানেজমেন্ট। এর মধ্যে দেখা গেছে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাড়ে ছয়’শ কোটি টাকা নেই, শেয়ার মার্কেট থেকে প্রায় ৯০ লাখ কোটি টাকা নাই- এভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা শূন্য হয়ে গেছে। আগে তো তলাবিহীন ঝুঁড়ি ছিল, এখন হয়ত দেখা যাবে তলা আছে ঝুঁড়ি-ই নেই। সুতরাং এই অবস্থার মধ্যদিয়ে দেশ পরিচালনা করা খুব কষ্টের।

গয়েশ্বর আরো বলেন, অর্থনীতির স্বাভাবিক একটা সূচক আছে, আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪ অথবা ৫ মাসের রিজার্ভ থাকলে তা ইতিবাচক বলা যায়। কিন্তু তা নেই। যদি থাকত তাহলে ব্যবসায়ীদের এলসি খুলতে ৭০ শতাংশ মার্জিন দিতে হতো না। আবার ব্যাংকের যে ডলারের মূল্য, তার সাথে বাইরের যে মূল্য ছিল দুই-তিন টাকা কম-বেশি। কিন্তু এখন ব্যাংকের চেয়ে বাইরে ১২ টাকা কম-বেশি। এই অবস্থায় বাইরে থেকে ডলার কিনে ৭০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে এলসি খোলা হয় স্বাভাবিকভাবে পণ্যের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। সে কারণে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং শ্রমিক ছাটাই। নতুন কোনো উৎপাদন ক্ষেত্র বা শিল্প কলকারখানা হচ্ছে না। অর্থনৈতিকভাবে এই সরকার দেউলিয়া অনেকটা।

তিনি আরো বলেন, যত টাকা ধার করে উন্নয়নের নামে যার সিংগভাগ টাকা পাচার করা হয়েছে, সেই ধারের টাকার সুদ দিতে হবে দুই বছর পরে। এই সুদের টাকা এই সরকারের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম কমানো যাবে না, মানুষের হাহাকার এবং অভাব-অটন দেখা দিয়েছে এটা তীব্র থেকে তীব্র হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ওপর আঘাতের পর আঘাত করা, পুলিশ দিয়ে দমন করাও সম্ভব হবে না। এই সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বক্তব্যের রেশ ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সালাম সাহেব বলেছেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এটাই পুরো কথা নয়। পুরো কথা হচ্ছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, যে পার্লামেন্ট আছে তা বলবদ রেখেও আমরা নির্বাচনে যাব না। তাহলে কী করতে হবে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে। স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার হবে। আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের নিশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে অন্যান্য জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না অঙ্গীকার করেছেন সবাই যদি বাড়িতে ঘুমিয়েও থাকি তারপরও শেখ হাসিনা সরকারে থাকতে পারবে না। কারণ তার পক্ষে আরেকটি নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো জ্বালাও পোড়াও, হরতাল অবরোধ না-ই করলাম, কিছুই দরকার নেই। এই সরকারের অধীনে শুধুমাত্র গণতন্ত্রমনা মানুষ অংশগ্রহণ না করলে হেলিকপ্টারে করে দেশ ত্যাগে বাধ্য হবে শেখ হাসিনাকে। তাই সবাইকে ভোটাধিকারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com