বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্টের হিসাব না মেলা ১৯ কোটি টাকা এক ভিআইপি গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যাংকটি।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং আওয়ারের পর একজন ভিআইপি গ্রাহককে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকিং রুলস ভায়োলেট হলেও এমন ঘটনা নতুন নয়। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের খাতিরে এমন লেনদেন হয়।
ব্যাংকের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার তিনজনকে প্রত্যাহার ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের উপস্থিতিতেই ১৯ কোটি টাকার হিসাব সমন্বয় করা হয়।
ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়েছে বলে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল জানতে পারে। তবে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে এসেছে বৃহস্পতিবার।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে যায়। কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা গুনে পান ১২ কোটি টাকা। বাকি টাকার বিষয়ে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে কোনো জবাব দিতে পারেননি।
এ ঘটনায় ব্যাংকটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিল হতে পারে। কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ভল্টের টাকায় গরমিলের মতো প্রমাণ যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পায়, তবে অবশ্যই যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।