বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ না করে পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের হোটেল ইম্পেরিয়ালে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যানদের এই সংগঠন এ দাবি জানায়। এতে বিভিন্ন জেলার অন্তত ১২ জন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানরা বলেন, তারা স্থানীয় পর্যায়ে সরকারে সহযোগী এবং প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে কাজ করেন। যদি পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয় বা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়, তাহলে দেশে ও দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে সরকারি সেবা দেওয়ার কাজ ব্যাহত হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হতে পারে। এতে আমরা বিচলিত।আমরা মোট ১০২৩ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে বেশিরভাগ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান। আর নৌকার অল্প কিছু থাকলেও দেশের অন্য সব দলের চেয়ারম্যানও রয়েছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাদ দেওয়া অন্যায় হবে। এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের আর কখনও ঘটেনি।
হেফাজতে ইসলামীর নবীনগর উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী বলেন, আমরা তৃণমূলে তীব্র প্রতিদ্বদ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি এবং ৬৫ শতাংশ চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সব দল ও মতের মানুষকে সমানভাবে সেবা প্রদান করে আসছি।বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগী হিসেবে আমরা প্রতিদিন অফিস করে আসছি, যাতে করে জনসাধারণের সেবা প্রধান ব্যাহত না হয়।
ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে গ্রামগঞ্জে চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘মারাত্মক অবনতি’ হতে পারে বলেও সংবাদ সম্মেলনে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদল নেতা ও নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আর মুজিব বলেন, আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের যদি দায়িত্ব সম্পন্ন করতে না দেওয়া হয়, এটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এখানে সব দলেরই চেয়ারম্যান রয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের নরসিংদী জেলা শাখার সহসভাপতি ও নরসিংদী সদরের মহিষাশুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমাদ ভূঁইয়া বলেন- দেশের জন্য, গ্রামের মানুষের সেবার জন্য হলেও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পূর্ণ করতে দেওয়া উচিত। একপাক্ষিকভাবে অপসারণ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হবে।চেয়ারম্যানদের অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা ‘বৈষম্যমূলক’ হবে।