কুমিল্লাপ্রতিনিধি//সংখ্যালঘুকে মারধরের ঘটনায় নিউজের জের ধরে সাংবাদিকের উপর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুরের ঘটনার ৮দিনেও হামলাকারীরা গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত মামলা নথিভুক্ত করে দৈনিক ভোরের সূর্যোদয় পত্রিকার প্রতিনিধি ও দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম রাজীবের উপর হামলাকারী উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলমসহ সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতারে দাবী জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের স্বাধীনতা স্তম্ভের পাদদেশে দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ওই মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি আক্তার হোসেন, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি সাহিদুল ইসলাম, মাই টিভি’র প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা সোহাগ, এশিয়ান টিভি’র প্রতিনিধি মো. নেছার উদ্দিন, দৈনিক আজকালের খবরের প্রতিনিধি আহাম্মেদ হোসাইন, দৈনিক নাগরিক ভাবনা’র প্রতিনিধি এম,জি মামুন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারে প্রতিনিধি ওমর ফারুক, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি রুহুল আমিন হাজারী, দৈনিক বাংলার আলোড়নের প্রতিনিধি আব্দুল হালিম, দৈনিক ভোরের দর্পণ প্রতিনিধি মো. শাহজালাল, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আব্দুল আলিম, দৈনিক কুমিল্লার ডাক’র প্রতিনিধি মো. বিল্লাল হোসেন, ও দৈনিক স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধি মোঃ সুমন প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে বিরোধী দলের ডাকা অবরোধ সংক্রান্তে তথ্য নিতে সাংবাদিক শফিউল আলম রাজীব দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনে যায়। এসময় চেয়ারম্যানের বাসার প্রবেশ গেইটে ৩/৪ জন সন্ত্রাসী রাজীবের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, পরে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানাতে গেলে, উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনেই জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় তুই নিউজ করেছিস বলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করে হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং ভাংচুর করে নিয়ে যায়। ওই মামলার ঘটনায় শফিউল আলম রাজীব ৩১ অক্টোবর রাতেই থানায় অভিযোগপত্র জমা দেন।