মঈন মাহমুদ : “২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূলের প্রতিশ্রুতি”এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সোসাইটি অফ অবস্টেটিক্যাল ফিস্টুলা সার্জন (ISO/S) কনফারেন্স।
, বিশ্বের বিভিন্ন ৫শতাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, গবেষক এতে অংশগ্রহণ করছেন।
১২-১৩ ডিসেম্বর বিআইসিসি সম্মেলন কেন্দ্রে মূল কনফারেন্স অনুষ্টিত হচ্ছে। এবারের কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য প্রসবজনিত ফিস্টুলা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নত চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যৌথ প্রচেষ্টা গড়ে তোলা। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা করবেন।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নূরজাহান বেগম, উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মো: সাইদুর রহমান, সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডা. মো: সারোয়ার বারী, সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও ইউএনএফপিএ, ইউএসএইড, ফিটোলা ফাউন্ডেশন, ফিগো, আইডিবি’র প্রতিনিধি উক্ত কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উক্ত কনফারেন্স এবং ISOFS এর সভাপতি অধ্যাপক সায়েবা আকতার ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশ থেকে প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশে ৯-১৩ ডিসেম্বর কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। ১৬৭ জন বিদেশি প্রতিনিধি ৩৪ টি দেশ থেকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
উল্লেখ্য, এই সংস্থাটিকে গত দুই বছর থেকে অধ্যাপক সায়েবা আকতার নেতৃত্ব প্রধান করছেন।তিনি বলেন, ISOFS Fistula Strategy করার উদ্যোগ নিয়েছেন যার মাধ্যমে ২০৩০ এর মধ্যে ফিষ্টোলা নিমূলের রূপরেখা তৈরী করা হয়েছে। ISOFS এর প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশে হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্ববোধ করি।
ইউএনএফপিএ ২০০৩ সাল থেকে ফিষ্টোলা নির্মূল বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত জোরালো ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন হাসপাতালও এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
ফিস্টুলা একটি জটিল শারীরিক অবস্থা, যা সাধারনত দীর্ঘস্থায়ী বা জটিল প্রসবের কারণে নারীদের মূত্রনালী বা পায়ুপথের মধ্যে অস্বাভাবিক যোগাযোগের সৃষ্টি করে। এর ফলে রোগীরা মূত্র বা মল নিঃসরণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং সমাজের কাছে অপমানিত হন। এটি সাধারণত গরীব, প্রত্যন্ত এবং স্বাস্থ্যসেবা সংকটাপন্ন এলাকায় বেশি দেখা যায়। বিশ্বের নানা প্রান্তে, বিশেষত আফ্রিকা, এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার কিছু অঞ্চলে, প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ নতুন ফিস্টুলা রোগী তৈরি হয়।