ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার এক বিবৃবিতে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মসজিদে নববীতে তারা যা করেছে, সেজন্য তাদের ক্ষমা করা হবে না। ইমরান খানকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।
রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘রওজা-ই-রসুলের’পবিত্রতা যারা নষ্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিটিআইয়ের নেতারা মসজিদে নববীতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ধর্মীয় কাজে বাধা দিয়েছেন। এ জন্য পিটিআইয়ের কিছু নেতাকে ব্রিটেন থেকে সৌদি আরবে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের জন্য কোনও ক্ষমা নেই। মসজিদে নববীর পবিত্রতা নষ্ট এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। কিছু পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠাবে সৌদি।
তিনি জানান, মসজিদে নববীতে ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনীতি করার কথা কেউ কল্পনাও পারেন না।
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন ইমরান খান ও তার দলের শীর্ষ শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কপি হাতে পেয়েছে। এতে দেখা গেছে, পাকিস্তান দণ্ডবিধির ২৯৫ (ধর্মীয় স্থাপনার পবিত্রতা নষ্ট এবং ক্ষতিসাধন), ২৯৫-এ ও ১০৯ ধারায় এই মামলা করা হয়েছে।
মুহাম্মদ নাইম নামের ফয়সালাবাদের একজন সাধারণ বাসিন্দা এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পিটিআইয়ের নেতা ও তার সহযোগীদের মধ্যে আছেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি, শেহবাজ গিল, সাহিবজাদা জাহাঙ্গীর, অনীল মুসাররাতের পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ। রশিদ আহমেদের ভাতিজা শেখ রশিদ শফিকের নামও মামলার এজাহারে রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মসজিদে নববীর ঘটনা একেবারে সুপরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে করা হয়েছিল। মসজিদে নববীর ঘটনায় ইলেক্ট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে এর প্রমাণ রয়েছে।
মুহাম্মদ নাইম বলেছেন, ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী, শেখ রশিদ, শাহবাজ গিল এবং কাসিম সুরি মসজিদে নববীর ঘটনার নেপথ্যের হোতা। সৌদি আরবে পিটিআইয়ের কয়েকজন নেতা হেনস্তাকারী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে মসজিদে নববীর পবিত্রতা নষ্ট করেছেন।