বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: তিন দিন ধরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানিসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বাধা দিচ্ছেন সদস্যরা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনো মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারেনি।
এর আগে বুধবার বিকেলে ভারতের কৈলাশহরে ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় দুইদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী জারা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রুবেল আহমদ শুক্রবার দুপুরে বলেন, বুধবার থেকে আমদানি এবং রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আমার ছয় গাড়ি মাছ শুল্ক স্টেশনে রয়েছে ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায়। ভারতের স্থলবন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কোনো সুরাহা করতে পারেনি। ইসকন সেখানে বাধা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, মাছ, পাথর ও প্লাস্টিক আইটেম ভারতে রপ্তানি করি। বর্তমানে মাছের গাড়ি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় আছি। কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তের ঝামেলা শেষ করে ওপারে মাল নিয়ে যাওয়ার পর ইসকন যদি সেগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় তাহলে এর ঝুঁকি কে নেবে। এজন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, বুধবার হঠাৎ করেই ভারতে ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। তারা বিক্ষোভ করে সেখানে তাদের পতাকা বেঁধে দেন। এতে করে বাংলাদেশ থেকে মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে ভারত থেকেও কোনো মালামাল আসছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম। প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল আটকে যায়। ভারতে অনেক মাছসহ কাঁচা পণ্য পাঠানো হতো, কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছি। তবে আমরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করছেন।
চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শুক্রবার দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ইসকনের বাধায় এখনও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আমরা যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এখনও তারা কিছু জানায়নি।