বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: ইসরায়েলে হামলার জন্য এক হাজারেরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রস্তুত রেখেছিল ইরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শুক্রবার রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং রাজধানী সংলগ্ন দুই প্রদেশ খুজেস্তান ও ইলামে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই হামলায় সীমিতমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে স্বীকার করেছে ইরানের বিমান বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ইরানের মিসাইল মজুত নিয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস, সেখানে বলা হয়েছে- দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে সহস্রাধিক মিসাইল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে থাকায় সম্ভাব্য যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইরানের সেনাবাহিনীকে এই নির্দেশ দেন খামেনি।
এদিকে, গাজার পাশাপাশি লেবাননেও অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায় ইরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
তবে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে ফেলতে পেরেছিল আইডিএফ। তাই ১ অক্টোবরের হামলায় তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের।
হামলার পরের দিন ২ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরানকে এ হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি গাজা এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফের এ ধরনের হামলা হবে।
উভয়পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই আশঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার দিবাগত রাতে হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সূত্র: তেহরান টাইমস, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস