বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের পরামর্শ নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বিএনপি আগ্রহী না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যত ভালো ইসি হোক না কেন, তার পক্ষে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না, যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়। তাই আমরা (সংলাপে) আগ্রহী না।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়া পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ইসির সংলাপে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের বিশিষ্টজনদের কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে তখন থেকে আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই।
কারণ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় নির্বাচনকালীন কী ধরনের সরকার থাকবে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত দু-তিনটা নির্বাচনে, একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব না।
তাই বিএনপির একটাই দাবি, নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার। যে সরকারের অধীনে মানুষ ভোট দিয়ে জনগণের সরকার নির্বাচিত করবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোকে বিএনপি সমর্থন দেবে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গ্যাস দাম বাড়ানো হলে জনমানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আমরা আন্দোলন করলাম। সেখানে গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ছিল, এই আন্দোলন চলমান। আমরা গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী এবং আমরা মনে করি, এটা গণবিরোধী উদ্যোগ।
সাধারণ মানুষ এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবারও যদি গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়, বিশেষত গ্যাসের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু দাম বেড়ে যাবে। এটা ইন্টার লিংকড।
আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করতে পারি না। আমরা নিন্দা জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এম সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।