বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তারের পর তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগীরা। যারা প্রতিষ্ঠানটিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন।
এ সময় ২০-২৫ জন বিনিয়োগকারী বিক্ষোভ করেন। তারা বলছেন, তাদের একেকজন প্রায় আট থেকে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র্যাব-২ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে গুলশান থানায় একজন ভুক্তভোগীর মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাসেল ও শামীমাকে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পর তাৎক্ষণিক র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কথা বলেননি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ইভ্যালিতে বিনিয়োগের পর তাদের কয়েক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পণ্য কিংবা টাকা কোনোটিই ফেরত দেওয়া হয়নি। অনেকে পরিবার থেকে টাকা নিয়ে আবার অনেকে জমি-জমা ও স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে এখানে বিনিয়োগ করেছিলেন। রাসেলের গ্রেপ্তারে টাকা ও পণ্য ফিরে পাওয়া অনিশ্চিয়তায় পড়ে গেছে বলে মনে করছেন তারা।
র্যাব সূত্র বলছে, আজ ভোরে একজন ভুক্তভোগী যখন থানায় মামলা করেন এরপর থেকেই তারা ইভ্যালির অনেককে নজরদারিতে রেখেছিলেন। এই তালিকায় রাসেল, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তা রয়েছেন।
গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে একজন ভুক্তভোগী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ইভ্যালির অনলাইন প্লাটফর্মে তিন লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পাননি তিনি। নিরুপায় হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন তিনি।
বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি টাকা। আর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। ৩৩৮ কোটি টাকাই কোম্পানির কাছে নেই।