বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঈদের তৃতীয়য় দিনেও পদ্মার মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটে উভয়মুখী মানুষের ঢল অব্যাহত রয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার কর্মজীবী মানুষ ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জ মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটের তিনটি ঘাট দিয়েই ঈদ শেষে ফেরি পার হয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন। আবার অনেকে ঈদের আগে প্রচণ্ড চাপ এড়াতে ঈদের পরে ফিরছেন গ্রামে। কিংবা অনেকে কর্মস্থলে ফিরছেন পদ্মার দক্ষিণের জেলাগুলোতে।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগে ছিল একদিকের চাপ। এখন উভয়মুখী চাপ। ঢাকা থেকেও মানুষ যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলে। আবার বাড়ি থেকে ঢাকায় প্রবেশ করছেন হাজার হাজার মানুষ। ঈদের দ্বিতীয় দিনই এই উভয়মুখী চাপ তৈরি হয়। ঈদের তৃতীয় দিন রোববার যাত্রীর চাপ আরো বেড়েছে মাওয়া ও শিমুলিয়া ঘাটে।
রোববার মানুষের ঢল নেমেছে মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটে। এখন উভয়মুখী মানুষের ঢলে ফেরি চালাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান করপোরেশন- বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। ১৬টির মধ্যে ১৪টি ফেরি দিয়ে উভয়মুখী যাত্রী পারপার করছে বিআইডাব্লিটিসি কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ সাত দিন ধরে যাত্রীরা প্রিয়জন ও স্বজনদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ভিড় জমান মাওয়া ঘাটে। এখন আসছেন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। ১০০ টাকার ভাড়া ৭০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের। ভোগান্তিও সীমাহীন। তারপরও তাদেরকে আটকাতে পারছে না।
জানা গেছে, ঈদ শেষে এবার কর্মস্থলে ফিরছেন সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাথে পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। অপর দিকে এখনো সমানতালে গ্রামে ফিরছেন মানুষ। ঢাকায় ঈদের আনন্দ ভোগ করে তারা বাড়ি ফিরছেন। যে কারণে বাড়ি ফেরার যাত্রীদেরও প্রচণ্ড চাপ মাওয়া ঘাটে। ঘাটে চাপ আছে ব্যক্তিগত গাড়িরও।
মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসি ক্যামেরা, পোশাকে-সাদা পোশাকে নিরাপত্তা প্রহরী আর আনসার সদস্যের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও রয়েছে।
সামনে আরো সাত দিনের লকডাউনে আটক যাবে মানুষ। এই আশঙ্কায় লকডাউনের আগেই বাড়িতে বা কর্মস্থলে ছুটছেন যাত্রীরা। ফলে এখন মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে চাপ তৈরি হয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, বাংলাবাজার থেকে যে ফেরিগুলো মুন্সীগঞ্জ মাওয়া ঘাটে এসে ভিড়ছে সেগুলো ঢাকামুখী যাত্রী ভর্তি। গাদাগাদি করে ফিরছে ঢাকায়। সমান তালে মাওয়া ঘাটে যেমন লোকজন নামছে তেমনি করে দৌড়ে দৌড়ে যাত্রীরা ফেরিতে উঠছে। ঈদের আগের মতোই এখনো মুহূর্তের মধ্যে মাওয়া ঘাটে ফেরি ভরে যাচ্ছে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়িতে।
বিআইডাব্লিউটিসির ম্যানেজার আহাম্মদ আলী জানান, ঈদের পরের তৃতীয় দিনেও ঘরমুখো প্রচুর যাত্রী পার করা হচ্ছে। প্রাইভেট কারে করে বাড়িতে যাচ্ছে মানুষ।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, ঈদের দিন শুক্রবার, শনিবার ও রোববার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। যানবাহন ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।