বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা, যা কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজনে নিজের প্রিয় বস্তুকে কোরবানি দেয়ার প্রস্তুতির শিক্ষাই এ ঈদের আদর্শ।
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে কোররবানির সময় তিন দিন। যারা প্রথম দিন কোনো কারণে কুরবানি করতে পারবেন না, তাদের জন্য ঈদের পরের দু’দিন তথা ১১ ও ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে।
তাই শুধু এক দিনই নয় বরং ১০ জিলহজ ঈদুল আজহার দিনসহ আরো দু’দিন কোরবানি করা যাবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে।
তবে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানি বৈধ নয়।
জিলহজের ১০ ও ১১ দিবাগত রাতেও কোরবানি করা জায়েজ। তবে দিনে কোরবানি করাই ভালো।
কেউ যদি কোরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি দিতে না পারে তাহলে কোরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার ওপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব।
আর যদি পশু ক্রয় করে থাকে, কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দেয়া হয়নি তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দিবে।
তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পাবে তা-ও সদকা করতে হবে।
তথ্যসূত্র : সহীহ বুখারি, সহীহ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, ইলাউস সুনান-খণ্ড ১৭, রদ্দুল মুহতার-খণ্ড ৪।