বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। আজ সোমবার তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘করোনা মহামারির বিস্তার রোধকল্পে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে।’
এর আগে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। প্রথম ধাপে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই করা হয়।
জানা গেছে, আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে সব ধরনের গণপরিবহন চালু থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট। একই সঙ্গে বসবে কোরবানির পশুর হাটও।
এরই মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এক সিট ফাঁকা রেখে এক সপ্তাহের জন্য ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাত দিনের জন্য ট্রেন চলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লকডাউনের আগে যে ট্রেনগুলো চলাচল করত, সেগুলোই চালানোর চেষ্টা করব। মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্রেনের টিকিটি বিক্রি করা হবে। সব টিকিটি অনলাইবে বিক্রি হবে। তবে শুধু কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকিট কাউন্টারে পাওয়া যাবে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামী ২১ জুলাই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। ওই দিন আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানি করেন মুসলমানরা। দেশে কোরবানির ঈদ হিসেবে পরিচিত এই উৎসবের মূল আহ্বান ত্যাগের।