বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ঈদ পরবর্তীকালে ঢাকামুখী জনস্রোত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঈদে গ্রামমুখী মানুষের বাধভাঙা জনস্রোত দেখা যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে নতুন ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শকে উপেক্ষা করার মাশুল গুণতে হতে পারে।
দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সকলে মিলে অভিন্ন শত্রু করোনাকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পড়তেই হবে। এবারের ঈদই শেষ ঈদ নয়, অপেক্ষা করি পরবর্তী সকালের, বর্ণময় ঈদের।
করোনাযুদ্ধে সম্মুখ সারিতে থেকে যারা যুদ্ধ করছেন, পরিবারের সদস্যদের দূরে রেখে সেবা করছেন সেসব ত্যাগী যোদ্ধাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ঈদের শুভেচ্ছা জানান সেতুমন্ত্রী।
করোনা সংকটে সকলকে সাহস ও মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা কাউকেই ছাড় দেয় না। তাই আসুন দলমত নির্বিশেষে করোনা সংকট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ হই এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি।
ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে অতীতের মতো এবারও সংকটের সাগর পেরিয়ে তীরে পৌঁছাবে ইনশাল্লাহ।
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতে বাংলাদেশ যেভাবে সংকট পেরিয়ে আশার সুবর্ণ প্রদীপ জ্বালিয়েছে ঠিক একইভাবে করোনা সংকট জয় করে আবারও নব উদ্যমে কাঙ্খিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মনের গহীনের আলো জ্বেলে অমানিশার আঁধার দূর করি এবং সহমর্মিতার সহজাত বাঙালি চেতনায় জাগিয়ে তুলি নিজেকে, সমাজকে, দেশকে।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে করোনা আক্রান্তদের নিরাময় ও সুস্বাস্থ্য, প্রত্যাশা এবং নিরবচ্ছিন্ন শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।