1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর মিডিয়া প্রধান বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত রোডম্যাপ: প্রধান উপদেষ্টা বীরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মনজুরুল ইসলামের মতবিনিময় বিসিবি চলছে জোড়াতালি দিয়ে : ক্রীড়া উপদেষ্টা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাওয়া হবে : ড. ইউনূস পতিত সরকার রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল তলানিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ দেখাতে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে পাবর্ত্যবাসীকে মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে, পাজেপ-এ নবনিযুক্তদের পাবর্ত্য উপদেষ্টা

উখিয়ার আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৩৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ আশ্রয়শিবিরে যান ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। এ সময় রোহিঙ্গা শিশুরা হাত তুলে সালাম দেয় তাকে। রাজকুমারী শিশুদের পাশে দাঁড়ান; জানতে চান, ‘তোমরা কেমন আছো?’ শিশুরা হাসিমুখে উত্তর দেয়, ‘ভালো আছি।’ এরপর রাজকুমারী জানতে চান, ‘তোমরা স্কুলে যাও? এখানে (আশ্রয়শিবিরে) স্কুল আছে?’ উত্তরে এক রোহিঙ্গা শিশু বলে, ‘হ্যাঁ, এখানে অনেক স্কুল আছে। আমরা সবাই স্কুলে পড়ছি।’

আজ মঙ্গলবারের ঘটনা এটি। এরপর হেঁটে যেতে যেতে আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসার কারণ, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা বসতিতে শরণার্থীদের জীবনযাপন, মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান কি না—এসব বিষয়ে তাদের কথা শোনেন রাজকুমারী।

এ সময় একজন রোহিঙ্গা নারী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের সে দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ, গণহত্যা, ঘরবাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার বর্ণনা দেন। ওই নারী বলেন, ‘আমরা এই গণহত্যার বিচার দাবি করে আসছি। আমরা (রোহিঙ্গারা) মিয়ানমারে ফিরতে চাই। কিন্তু পালিয়ে আসার পাঁচ বছরেও মিয়ানমার সরকার আমাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হচ্ছে না।’

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ বলেন, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ডেনমার্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে থাকবে। ক্যাম্প-৬-এর রোহিঙ্গা কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে ১০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রাজকুমারী। উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সোয়া আটটার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকতের একটি হোটেল থেকে উখিয়ার উদ্দেশে রওনা হন ডেনমার্কের রাজকুমারী। সোয়া ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৫ আশ্রয়শিবিরে পৌঁছালে ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাজকুমারী আশ্রয়শিবিরে ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল (ডিআরসি) কর্তৃক পাহাড়ভাঙন রোধ প্রকল্প ও পরিবেশ রক্ষায় সৃজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি। পরে ৬ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারে ওঠে ক্যাম্পের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথের সফর ঘিরে ক্যাম্পে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত রাখা হয়। আশ্রয়শিবিরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চলাচলও সীমিত করা হয়। রাজকুমারীর আসা-যাওয়ার সময় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ক্যাম্প থেকে রাজকুমারী যান পার্শ্ববর্তী রাজাপালং ইউনিয়নে পাতাবাড়ি গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। স্থানীয় ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক আশ্রয় দিতে গিয়ে তাঁদের (বাংলাদেশিদের) চাষাবাদ বন্ধ, বনায়ন উজাড় এবং কর্মহীন হয়ে পড়ার কথা তুলে ধরেন রাজকুমারীর কাছে।

এ সময় রাজকুমারীর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে রাজকুমার রোহিঙ্গা শিশু ও নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের জীবনযাপন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। আশ্রয়শিবির তৈরির সময় ধসের ঝুঁকিতে থাকা পাহাড়ে যে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, সেটিসহ পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন রাজকুমারী।

ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ গতকাল সোমবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন। ওই দিন বিকেল পাঁচটায় ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছান। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি ওঠেন কলাতলী সৈকততীরের পাঁচ তারকা হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com