বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: অধ্যবসায় যে সফলতার চাবিকাঠি তা আরেকবার প্রমাণ করে দেখালেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার মো. সিরাজুল ইসলাম (৬০)। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলে-মেয়ে ও নাতির সাথে প্রায় ৬০ বছর বয়সে জিপিএ ২.১৪ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। শুধু তিনি একাই নন, উনার পরিবারে এবার সাফল্যের ঝুড়ি। ছেলে-মেয়ে ও নাতি কৃতিত্বের সাথেই উত্তীর্ণ হয়েছে।
মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৮৭ সালে তাইন্দং দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করি। এরপর পারিবারিক কারণে আর পড়াশোনা করতে পারিনি। সর্বশেষ আমি ২০২০ সালে খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় আলিমে (প্রাইভেট) ভর্তি হই। আজ আমার আনন্দের দিন। এই শেষ বয়সে হলেও আমি আলিম পাশ করতে পেরেছি। খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে ২.১৪ পেয়ে আলিম (প্রাইভেট) পরীক্ষায় পাশ করেছি।
শুধু আমি একাই নই, আমার বড় মেয়ের ঘরের বড় নাতি মো. নাজমুল হাসান এইচএসসিতে ৪.৬৭, ছোট মেয়ে মাহমুদা সিরাজ খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে ৪.১৭, ছেলে হাফেজ নেছারুদ্দীন আহমদ চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে আলিম পাশ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ।’
খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘মো. সিরাজুল ইসলাম আমাদের মাদ্রাসার (প্রাইভেট) ছাত্র ছিলেন। আমরা অনেকেই একটু বয়স বেড়ে গেলে পড়াশোনা করতে চাই না। আর সিরাজুল ইসলাম উনার শেষ বয়সেও হাল ছাড়েননি। এই বয়সেও উনার অধ্যবসায় এবং কৃতিত্বের সাথে আলিম পাশ করা অকৃতকার্যদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।’ ৬ মেয়ে ও এক ছেলের জনক সিরাজুল ইসলাম মাটিরাঙ্গার সীমান্তবর্তী তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইউপি সদস্য ছিলেন। এরপর ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।