বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে প্রথম মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভর্তিচ্ছুরা একাদশে ভর্তির ওয়েবসাইটে https://xiclassadmission.gov.bd/ প্রবেশ করে ফল দেখতে পারবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরেও এসএমএসের মাধ্যমে মনোনীত কলেজ ও মাইগ্রেশনের পর আবেদনকারী কোন কলেজে মনোনীত হয়েছে তা জানিয়ে দেবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র ও একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির লক্ষ্যে পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের ভিত্তিতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, নির্বাচন নিশ্চায়নের জন্য নিজ পোর্টালে লগ ইন করুন এবং পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়নের ফি প্রদানপূর্বক নির্বাচন নিশ্চায়ন করুন।
নির্বাচন ও নিশ্চায়ন সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেখুন এ লিংকে https://drive.google.com/file/d/1j3iIKl-X3TeKnFG1GdCaNYgAWHBNiUdJ/view। পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি দিয়ে অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি দিয়ে নিশ্চায়ন করতে পারবেন। প্রক্রিয়া দেখতে ক্লিক করুন এ লিংকে https://docs.google.com/document/d/e/2PACX-1vRjbsm0h1qVL80do33RzfLDBCjpfMvzbdQtwVBeqbMxuRfF2StPxsYMfxXcULQC8vqELY61E25A0nbf/pub।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হয়ে কলেজে মনোনীতদের দ্রুত নিশ্চায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে তারা যদি মাইগ্রেশন না করতে চায়, তাহলে স্টপ মাইগ্রেশন অপশন পূরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপের পরও ঠিক কত শিক্ষার্থী কলেজ পাননি, তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি তিনি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে বলে জানান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তৃতীয় ধাপে আবেদন ও ভর্তি
আগামী ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন চলবে। ১২ জুলাই তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৩ ও ১৪ জুলাই তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে।
তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ১৫ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ৩০ জুলাই অনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। ফল পুনঃনিরীক্ষণে আরও প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেন।
তবে সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে।