1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ইপিজেডে অনৈতিক চাঁদাবাজি অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ২ সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী ফুডি’র আয়োজন ইফতার ও সাহরী ফেস্ট ২০২৫ শুরু হতে যাচ্ছে নাগরপুরের গয়হাটা ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের ইফাতার ও SSC পরিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাবা পেলেন ছেলের ছিন্নভিন্ন লাশ নোয়াখালী বেগমগঞ্জে জাতীয়তাবাদী জিয়ার সৈনিক দলের ,আবুল বয়ান মামুন আহ্বায়ক, ৬১ সদস্যের কমিটি গঠন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি করা একটি স্কুল যার নাম মিতালি আইডিয়াল স্কুল কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন সুকান্ত ও অপু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না- আমিনুল হক গজারিয়ায় যুবদল নেতার উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে ইফতার দারুল আফখার মাইজভান্ডারী দায়রা শরীফে দুস্থদের মাঝে ইফতার ও সেহরীসামগ্রী বিতরণ

একুশে আগস্ট ও ওয়ান ইলেভেন একই সূত্রে গাঁথা : রিজভী

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৫৩ বার দেখা হয়েছে

রিজভী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নৃশংস ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালিয়ে আসছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশে বিদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটা ভয়ংকর মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ২১ আগস্টের নৃশংস মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে তারেক রহমানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের হাইপার-প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে আওয়ামী কতৃর্ত্ববাদী সরকার।

সোমবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান কন্ঠস্বর তারেক রহমানকে এই বর্বরোচিত ঘটনায় জড়িয়ে সাজা প্রদানের ঘটনা এক চরম চক্রান্তমূলক অবিচার ও ন্যাক্কারজনক প্রহসনগুলোর অন্যতম বলে মনে করে দেশবাসী। তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার এক গভীর ষড়যন্ত্রের হাস্যকর প্রচেষ্টা। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা এবং জিঘাংসার পথরেখা ধরে এগুচ্ছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে। ২১ আগস্টের নৃশংস ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ‘একুশে আগস্ট’ আর ‘ওয়ান ইলেভেন’ একই সূত্রে গাঁথা।

তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের নিরেট বাস্তবতার প্রামাণ্য আজ তুলে ধরেছেন তারেক রহমান। আজ সকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রদত্ত ভাষণে তারেক রহমান দেশবাসীর সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ, কিছু জিজ্ঞাসা, ২১ আগষ্টের নির্মম ঘটনাটি ঘিরে কিছু প্রশ্ন জনগণের আদালতে উপস্থাপন করেছেন।

রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট সম্পর্কে আলোচনা উঠলেই ‘জজ মিয়া’ নামে এক ব্যক্তির গ্রেপ্তার প্রসঙ্গটি সামনে এনে পুরো বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্ট চালানো হয়। অথচ, সব তদন্তেই ২১ আগস্টের মুখ্য চরিত্র গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মুফতি হান্নান। বিএনপি সরকারের আমলেই ২০০৫ সালের পহেলা অক্টোবর মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালের ৯ জুন গ্রেপ্তার হন জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। গ্রেপ্তার হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক পর ২৫ জুন ‘জজ মিয়া’ ২১ আগস্ট মামলায় নিজেকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রিজভি আরও বলেন, ‘জজ মিয়া’র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘মুফতি হান্নানের নাম ছিল না। আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে, চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো তদারকি করার জন্য বিএনপি সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ‘জাতীয় মনিটরিং সেল’ করা হয়েছিল। জজ মিয়া’র জবানবন্দির আলোকে মামলা এগিয়ে নেয়ার জন্য তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা দু’দফায় জাতীয় মনিটরিং সেলের কাছে নির্দেশনা চেয়েছিলো। কিন্তু ২১ আগস্ট মামলার তদন্ত চলাকালে তৎকালীন বিএনপি সরকার শুধু ‘জজ মিয়া’র জবানবন্দির ওপর তদন্ত সীমাবদ্ধ রাখেনি। বরং জাতীয় মনিটরিং সেলের পক্ষ থেকে আরও গভীরভাবে তদন্ত এগিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, এরই জের ধরে ‘জজ মিয়া’ গ্রেপ্তারের পর তিন মাসের মাথায় মুফতি হান্নানের গ্রেপ্তারে প্রমাণিত হয়, বিএনপি সরকারের তদন্ত সঠিকভাবেই এগুচ্ছিলো। ‘জজ মিয়া’কে ব্যবহার করে ২১ আগস্ট মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইলে বিএনপি সরকারের সময় মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন ছিল না। ‘জজ মিয়া’কে ব্যবহার করে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইলে বিএনপি সরকারের আমলেই পুলিশ ‘জজ মিয়া’কে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিতে পারত।

দলটির মুখপাত্র আরও বলেন, ‘২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা মামলাটিকে জাতীয় স্বার্থেই বিএনপি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিল। তদন্ত পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় তাড়াহুড়ো করে বিএনপি সরকারের আমলে ২১ আগষ্ট হামলা মামলার কোনো চার্জশিট দাখিল করা হয়নি। তারেক রহমান বলেন, যেখানে ‘জজ মিয়া’কে অভিযুক্ত করে কোনো চার্জশিটই দাখিল করা হয়নি, যেখানে মামলার ১ নম্বর অভিযুক্ত মুফতি হান্নানকে বিএনপি সরকারই গ্রেপ্তার করেছে। সেখানে ‘জজ মিয়া’কে ইস্যু বানিয়ে ২১ আগস্ট মামলার তদন্ত সম্পর্কে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পেছনে আওয়ামী লীগের অবশ্যই ভিন্ন কারণ রয়েছে। সুতরাং, ২১ আগস্টের ভয়ঙ্কর হামলার নেপথ্য কারণ বের করতে হলে ‘জজ মিয়া’ থেকে বেরিয়ে এসে আরও অনেক প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেতে হবে। তারেক রহমান বলেন, ২১ আগস্টের সমাবেশ এবং এর আগে পরের কিছু বিষয় সম্পর্কে আমি আজ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই। আপনারা জানেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশ রাজধানীর ‘মুক্তাঙ্গনে’ হওয়ার কথা ছিল।

রিজভী বলেন, সমাবেশের জন্য ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ লিখিতভাবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে ‘মুক্তাঙ্গন’ বরাদ্দ নেয়। ‘মুক্তাঙ্গন’ বরাদ্দ পাওয়ার পর তৎকালীন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিলন ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট লিখিতভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশকে জানায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ যথারীতি আওয়ামী লীগকে ১৯ আগস্ট লিখিতভাবে ‘মুক্তাঙ্গনে’ সমাবেশের সম্মতিপত্র দিয়ে দেয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রায় সকল জাতীয় পত্রিকায় ‘আজ মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের সমাবেশ’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়। ২১ আগস্ট নির্ধারিত সমাবেশের দিন বেলা ১২ টার মধ্যেই পুলিশ প্রশাসন ‘মুক্তাঙ্গন’ ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ‘মুক্তাঙ্গনে’ দায়িত্ব পালনের জন্য আসার সময় নিয়মানুযায়ী মতিঝিল থানায় জিডি করে। তবে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা ‘মুক্তাঙ্গনে’র আসার কিছু সময় পর জানতে পারেন সমাবেশের স্থান কাউকে না জানিয়েই হঠাৎ করেই ‘মুক্তাঙ্গন’ থেকে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থানায় ফিরে গিয়ে ভেন্যু স্থানান্তরের বিষয়ে বেলা দেড়টার দিকে মতিঝিল থানায় জিডি করে। প্রশ্ন হলো, যেই সমাবেশের প্রধান অতিথি সেই সময়কার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা, সেই সমাবেশের ‘ভেন্যু’ কার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করা হয়েছে? কে পরিবর্তন করেছে? তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেয়া হয়, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলার আশংকায় ‘মুক্তাঙ্গনে’র পরিবর্তে সমাবেশের স্থান তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু এভিন্যু’ এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাহলে সেই ‘ভেন্যু’ পরিবর্তনের তথ্য কি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছিল?

রিজভী আরও বলেন,’২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। আজকেও ২১ আগস্ট নিয়ে অবান্তর, অসত্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী করে আবোল- তাবোল বক্তব্য রেখেছেন। আসলে এই মূহুর্তে আওয়ামী লীগের ঝুলিতে জনসমর্থন শুণ্যের কোঠায় বলেই বিকারগ্রস্ত হয়ে প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য রাখছেন। হিংসার রাজনীতিতে ঠাসা আওয়ামী লীগ ও তার নেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চান। তবে বর্তমানে ঐকবদ্ধ জনগণ সকল প্রহসন ও মিথ্যাচারকে পদদলিত করে কতৃর্ত্ববাদের অবসান ঘটিয়ে অতিসত্বর গণতন্ত্রের যুগ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে নিযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, শেখ শামিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com