বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার একটি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে ৩ মাসের জেল এবং আরেকটি বাড়ি সিলগালা করেছে করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় মোট ৬ মামলায় ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে সংস্থাটি।
শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো এর তত্ত্বাবধানে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক খিলগাঁও এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-২ এ অভিযানকালে আদালত মোট ৩৮টি ভবন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৫০০/সি ও ৫০০/৪/সি হোল্ডিংস্থিত ২টি ভবনে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় আদালত ২ ভবন মালিককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড আরোপ এবং অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে ৫০০/সি ভবনটির মালিক আরোপিত অর্থদণ্ড দিলেও ৫০০/৪/সি ভবনটির মালিক তা পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আদালত পরিচালনাস্থলে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন। এ সময় ভবন মালিকের ভাগ্নে ও ভবনটির তত্ত্বাবধায়ক জৈনক সুলতানকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন করেন।
এছাড়াও অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট ৭০/সি হোল্ডিংস্থিত পার্শ্ববর্তী রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রচুর লার্ভা থাকার খবর আসে। পরে আদালত সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে, ভবনটির কার্যক্রম ও তদারকির সাথে সম্পৃক্ত লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েক মিনিট আগে তড়িঘড়ি করে ভবনটির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে চলে যান। এ সময় আদালত ভবনটি সিলগালা করে দেন।
অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো বলেন, ‘জেল জরিমানা করে মানুষকে এডিস মশার প্রকোপ হতে রক্ষা করা যাবে না। আমরা কাউকে জেল জরিমানা করতেও চাই না। কিন্তু কোনও মানুষ যখন ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটার সহায়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে, তখন আমরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে দণ্ড আরোপ করি।’
আজ মোট ৮৩টি বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৬টি বাসাবাড়ি ও ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬ মামলায় ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহবুবুল আলম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক, অঞ্চল-২ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু সাদাত মোহাম্মদ সালেহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।