সাইফুল ইসলাম তুহিন স্টাফ রিপোর্টার : রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গত (২৯শে মার্চ ২০২৫) শনিবার সকাল ১০টা থেকে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা চাপাতলী, শেরপুর এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শেরপুর জেলার চাপাতলীতে অবস্থিত সরকারি শিশু পরিবারে এক ব্যতিক্রমী আনন্দঘন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। এতিম শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে ও তাদের আনন্দ দিতে আয়োজিত এই বিশেষ মেহেদী উৎসব রঙিন হয়ে ওঠে ভালোবাসা, হাসি ও উদ্দীপনার স্পর্শে।
এতিম শিশুদের মনে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের হাতে নানান নকশার মেহেদী এঁকে দেন। ছোট ছোট হাতগুলো রঙিন নকশায় ভরে ওঠে, আর তাদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয় পুরো পরিবেশ। শুধু মেহেদী পরানোই নয়, তাদের জন্য ছিল বিভিন্ন খেলাধুলা, গান, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সমাজসেবকরা। তারা শিশুদের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন এবং ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “এতিম শিশুরা আমাদের সমাজের অংশ। তাদের মুখের হাসিই আমাদের প্রকৃত অর্জন।”
এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। স্বেচ্ছাসেবীরা আশাবাদী, সমাজের সকল মানুষ যদি এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়ায়, তবে তারা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে। এই আয়োজন ভালোবাসা ও সহমর্মিতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন
“এই আয়োজন শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি ভালোবাসা ও সহমর্মিতার প্রতিচ্ছবি। এতিম শিশুদের মুখের হাসি আমাদের সমাজের জন্য আশার আলো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, সমাজের প্রতিটি মানুষ এসব শিশুদের পাশে দাঁড়াক। তাদের আনন্দই আমাদের প্রকৃত সাফল্য। রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যাতে তারা ভালোবাসা ও যত্নের অভাব না অনুভব করে।”
মেহেদী উৎসব শুধু একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজন ছিল না, এটি ছিল ভালোবাসা ও আশার প্রতীক। শিশুদের আনন্দ, হাসি আর উচ্ছ্বাসই প্রমাণ করে, একটু ভালোবাসা পেলে তারাও সমাজের মূলধারায় এগিয়ে যেতে পারে। রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, যাতে এই শিশুরা কখনো একা বোধ না করে।