জানা গেছে , কলকাতা সন্নিহিত উল্টোডাঙা থানায় এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঋজু দত্ত নামে তৃণমূলের এক মুখপাত্র এই এফআইআর দায়ের করেন।
বাদির অভিযোগ, কঙ্গনার মতো একজন জনপ্রিয় তারকা যদি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ান, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন, তাহলে তার প্রভাব পড়বে জনমানসে। আর তা মোটেই কাম্য নয়। তাই এর সুবিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, তার অভিযোগ গৃহীত হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
এফআইআর দায়ের হওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে ফের সরব হন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এফআইআর-এর কপির ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এফআইআর বা মামলা করে আমার কণ্ঠরোধ হবে না। আপনি আমায় ভয় দেখাতে পারবেন না। আপনার শেষের শুরু হয়ে গেছে। এফআইআরের পর মমতাকে আক্রমণ কঙ্গনা রানাউতের।’
গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য় করেন কঙ্গনা বলে অভিযোগ। এমনকী, ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্যও মমতার তীব্র সমালোচনা করেন বলিউড অভিনেত্রী। পরের পর ট্যুইট করে বেনজির করেন তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনওটায় বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাবণ’ বলে কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী।
এরপরেই সাময়িকভাবে কঙ্কনার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। টুইটারের নিয়মবিধি লঙ্ঘন করায় টুইটার কতৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের এক কর্মী কঙ্কনার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করলেন।