খেলাফত মজলিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তাই বৈঠকের আগে জোট ছাড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটির মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের সহিংসতার পাঁচ মামলার আসামি হয়ে এখন কারাগারে। জোট ছাড়ার পেছনে এটাও কোনো কারণ কি না, সে আলোচনাও আছে।
তবে দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা ২০-দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপির কার্যকলাপে হতাশ। দীর্ঘদিন ধরে জোট নিষ্ক্রিয়।
বিশেষ করে, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর রাজনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারণে ২০-দলের শরিকেরা গুরুত্ব হারায়। তা ছাড়া বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে তাদের মনে হয়েছে, তারা জোটে থাকা ইসলামি দলগুলোর ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নন।
জোট ছাড়ার গুঞ্জন প্রসঙ্গে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দলে মজলিশে শুরার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এটুকু বলতে পারি, আমরা দেশ ও জাতির সামগ্রিক কল্যাণ বিবেচনা করে রাজনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করব।
এদিকে খেলাফত মজলিস যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল জানান, পল্টন কালভার্ট রোডস্থ সীগাল রেস্টুরেন্টে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনের আগে দলের মজলিসে শূরার বৈঠক হবে।
খেলাফত মসলিসের দুই নেতা জানান, বৈঠকে দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরের মুক্তি ও ২০ দলীয় জোট ছাড়া নিয়ে আলোচনা হবে।
মজলিসের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, দীর্ঘদিন ২০ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় ও অকার্যকর। আর এই জোটে থাকার রাজনৈতিক মূল্যায়নও পায়নি মজলিস।
সর্বশেষ হেফাজতের ঘটনায় দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাই খেলাফত মজলিসের জোট ত্যাগ করার পেছনে রাজনৈতিক কারণই প্রধান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর পুরানা পল্টনের সীগাল রেস্টুরেন্টে খেলাফতের মজলিশে শুরার বৈঠক হবে। সারা দেশের সব জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মজলিশে শুরার প্রায় দুই শ সদস্যকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। বিকেল চারটায় সেখানেই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।