বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বেতন-ভাতা উত্তোলনের শেষ দিন ১৪ জুলাই। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওয়েবসাইট থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের এমপিওর শিট ডাউনলোড করতে বলা হয়েছে।
বেতনের সরকারি অংশের আটটি চেক অনুদান বণ্টনকারী নির্ধারিত চারটি ব্যাংক (সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী) শাখায় পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। এরপর থেকেই শিক্ষকরা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি শিক্ষকদের মতো চিকিৎসা ভাতা ও বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, এটি সরকারের উচ্চমহলের সিদ্ধান্ত। আমাদের কাছে শতভাগ বোনাস বাস্তবায়নের কোনো নির্দেশনা আসেনি। আসলে অবশ্যই পদ্ধতিগতভাবে এটি কার্যকর হবে।
এদিকে ঈদুল ফিতরের আগে শতভাগ উৎসব ভাতা না দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, সামনেই ঈদুল আজহা। এর মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান বোনাস বৈষম্য নিরসন করতে হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পান ২৫ শতাংশ। এছাড়া সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেসব মৌলিক বৈষম্য রয়েছে তা নিরসনের ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমরা আবেদন পাঠিয়েছি। শিক্ষায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও চরম বৈষম্যমূলক, গতানুগতিক নানা ধারায় বিভাজিত।