বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলতে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে ডেনমার্কের জন্য এই ম্যাচটি বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াই। কেননা আগের ম্যাচে তারা গোলশূন্য ড্র করেছে তিউনিসিয়ার সাথে।
দুই দলই একের অধিক পরিবর্তন নিয়ে দল সাজায়। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে রাবিও হেড করলে ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত ভঙিমায় সেটি রুখে দেন। ৩৫ মিনিটে কাউন্টার এটাক থেকে ডেনমার্ক গোল করার চেষ্টা করে কিন্তু ফ্রান্সের দুর্দান্ত ডিফেন্সের কাছে সেটি পরাস্ত হয়ে যায়।
৪১ মিনিটে আবারো গোলের অন্যতম সহজ সুযোগটি পায় ফ্রান্স ও ডেম্বেলে। চৌয়ামেনির বাড়ানো বলে ডেম্বেলে বল পেলে সেটি দেন এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এমবাপ্পের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
গোলের দেখা মিলে বিরতির পর, ৬১ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপ্পে। ডি বক্সের বাঁ পাশ দিয়ে হার্নান্দেজ ঢুকেন বল নিয়ে। ওয়ান টু ওয়ান পাসে আবার যায় এমবাপ্পের কাছে। নিখুঁত শটে ড্যানিশদের জালে বল পাঠিয়ে দেন এমবাপ্পে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও রুখতে পারেননি ড্যানিশ গোলরক্ষক।
এমবাপ্পের গোলের ঠিক ৬ মিনিট পরেই ডেনমার্কের গোল। এরিকসেন একটি দারুণ কর্নার কিক নেন। ডান দিকে বল এলে সেখানে থাকা অ্যান্ডারসেন গোলমুখে পাঠান ক্রিসটেনসেনের কাছে। ক্রিসটেনসেন লরিসকে ফাঁকি দিয়ে জড়ান ফরাসিদের জালে। তখন ১-১ গোলে সমতা। কিন্তু সে সমতা বেশিখন স্থায়ী থাকে নি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৮৬ মিনিটে ডান দিকে একটি দারুণ ক্রস করেন গ্রিজম্যান। গোলের দুই গজ দূরে থাকা এমবাপ্পে লাফিয়ে উঠে থাইয়ের টোকায় বল পাঠিয়ে দেন ড্যানিশদের জালে। ড্যানিশ গোলরক্ষকের কোনো সুযোগই ছিল না বাঁচানোর। ফলাফল ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ফ্রান্স। নিশ্চিত করে শেষ ১৬।
ফ্রান্সের হয়ে শেষ ১২ ম্যাচে তিনি ১৪ গোল করেন।