রবিবার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) ঢাকা মো. আ. আহাদ গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গত বুধবার এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) জব্দ করেছিল পুলিশ। তখন তিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগেই শনিবার রাতে শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
নতুন করে গ্রেপ্তারকৃরা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪)। তারা প্রত্যেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মো. আ. আহাদ বলেন, রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরে এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। চক্রের অন্যদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, তারা অনলাইনে তাদের এই ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তার পাঁচজনের কাছে ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম এলএসডি, আইস ও গাঁজা পাওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
এই তরুণরা কীভাবে জড়িয়ে পড়ল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে তারা এলএসডি সেবন শুরু করে। তারা মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি সংগ্রহ করে থাকে। তারা মূলত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসত। কুরিয়ার ও ল্যাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে বলে জানান তিনি।