বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মাত্র ৩ রানে হেরে যায় বাংলাদশে। ১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করা টাইগারদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। আন্দ্রে রাসেলের ওই ওভারে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ ও আফিফ হোসেন। শেষ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হতো ৪ রান। স্ট্রাইকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ শেষ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি। বাংলাদেশ হেরে যায় মাত্র ৩ রানে।
তবে এই ম্যাচে সবচেয়ে চমক দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিং করতে নেমেছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের এই ম্যাচে তিনি সাফল্য পাননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হন।
গতকাল তিনজন ওপেনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাসের সঙ্গে দলে সুযোগ পান সৌম্য সরকার। এত ওপেনারের ভিড়ে সাকিবের ইনিংস উদ্বোধন করায় নেতিবাচক কিছু দেখছেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তামিম ইকবাল।
গতকাল বোলিংয়ের সময়ই চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে দৌঁড়ে রান নেওয়া তার জন্য কঠিন ছিল। ইউটিউবের একটি অনুষ্ঠানে সাবেক সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘সাকিবের মতো খেলোয়াড় ও তার অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন এক খেলোয়াড়কে গুরুত্ব দেওয়াও দলের কাজ। বোঝাই যাচ্ছিল, সাকিব দৌড়াতে পারবে না। সাকিব প্রথম ছয় ওভারে যতটুকু ব্যাটিং করবে ওটাই লাভ। আমার মনে হয় না, দলের এতে কোনো ভুল আছে।’
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালও বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওর ওপেন করার কারণটা ওর চোট। আপনাদের মনে হতে পারে, চোট পেলে পরে নামলেই তো ভালো। কিন্তু, না। আমার তার সঙ্গে কথা হয়নি বা দলের কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মনে হচ্ছে, সে বুঝতে পেরেছিল, ও দৌড়াতে পারবে না। সে মাঝখানে নামলে ওকে অনেক দৌড়াতে হবে, জোরে সিঙ্গেলস নিতে হবে। ও সম্ভবত চিন্তা করেছে, পাওয়ার প্লেতে যদি দুই-তিন-চারটা বাউন্ডারি মেরে দিতে পারে, দলের অবস্থান একটু ভালো হবে। ওই ঝুঁকিটা সে নিয়েছে।’