বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কতদিন অন্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন যে করোনাভাইরাসের রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হন।
ওমিক্রনের ক্ষেত্রে, আক্রান্ত রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার একদিন বা দুদিন আগেই সে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে। এরপর, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত সে অন্যের জন্য ঝুঁকি থাকবে।
স্পেনের লা রিওহা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভিসেন্তে সোরিয়ানো বলেন, “আমাদের বিশ্বাস ওমিক্রন ভাইরাস মাত্র পাঁচদিনের জন্য সংক্রামক থাকে। অর্থাৎ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিন থেকে পাঁচদিন সেই ব্যক্তি অন্য যে কাউকে সংক্রামিত করতে পারে।”
ওই বিজ্ঞানী বলেন, “ওমিক্রন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাতদিনের মত থাকে। ফলে, শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বড়জোর সাতদিন কোনও রোগী অন্যের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।”
“এটি মেডিসিন, গণিত নয়, সুতরাং দু্-চারদিন কম-বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়,” বলেন ড. সোরিয়ানো।
“কারো কারো শরীরে এই ভাইরাস তিন থেকে চারদিন কর্মক্ষম থাকতে পারে, কারো শরীরে সাতদিন। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে ওমিক্রন আগের যেকোনও ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুত সংক্রমিত করছে,” যোগ করেন তিনি।
শরীরে এখনও সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেই অনিশ্চয়তা কাটানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা যেটি র্যাচপিড ল্যাটারাল টেস্টিং নামেও পরিচিত। “এই পরীক্ষা সস্তা এবং এটি দিয়ে সংক্রমণ শনাক্ত করা যায়,” বলেন ড সোরিয়ানো। -বিবিসি বাংলা