বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। গতকাল জয়ের রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিলেন স্পিনাররা। দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয় উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ। ১০৮ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ বল হাতে রেখে বিশাল জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এবারের উইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে ‘প্রিয়’ ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেই দাপট দেখাল টাইগাররা। শুধু উইন্ডিজ সফরেই নয়, শেষ কয়েক বছর ওয়ানডে সংস্করণে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ দল। তামিম নতুন করে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর যে ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শেষ করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা, তার ৬টি জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর তামিমের নেতৃত্বে ২০টি ওয়ানডে খেলে জয় এসেছে ১৪ ম্যাচে।
ওয়ানডে সুপার লিগেও শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। ১৮ ম্যাচে ১২ জয়ে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। তাতে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে ২০২৩ সালে বসতে যাওয়া ভারত বিশ্বকাপের সরাসরি পর্বে খেলা। কিন্তু অন্য দুই ফরম্যাট টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি নাজুক অবস্থা বাংলাদেশের। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সিরিজ জিতে ওয়ানডেতে ভালো করার রহস্য নিজেই জানালেন তামিম।
তামিমের ব্যাখ্যা, ‘আমরা এই খেলাটায় হয়তোবা একটু কমফোর্টেবল। বেশকিছু ম্যাচও খেলেছি এটাতে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আপনি যদি দেখেন, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আমার মনে হয় সব থেকে প্রতিযোগিতামূলক, যেটা আমরা বাংলাদেশে খেলি। সম্ভবত এই কারণেই আজ এই জায়গায় ফলাফলটা আসে। আর যে জায়গায় ফলাফল আসে, সেই জায়গার পরিবেশটা একটু ভিন্ন থাকে।’
এজন্য অবশ্য দলের প্রত্যেক সদস্যকে কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ক তামিম। তামিম বলেন, ‘তিনজন ক্রিকেটার (সাকিব, মুশফিক, ইয়াসির রাব্বি) মিসিং থাকলে একটু তো আত্মবিশ্বাস ওপর-নিচ হয়। আমার কাছে মনে হয় যে এই জিনিসটা বুঝতেই (বাকিরা) দেয়নি। মূল কথা হচ্ছে প্রত্যেকে জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। টেস্ট সিরিজ বলেন বা টি-টোয়েন্টি সিরিজ- সবাই চেষ্টা করেছে কিন্তু রেজাল্টটা আসেনি।’
অন্য দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশ রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে উইন্ডিজের কাছে। সে কারণেই দলের ভেতর তাড়না ছিল ওয়ানডেতে ভালো কিছু করার।
তামিমের ভাষ্য, ‘আমরা সবসময় চাচ্ছিলাম এখান থেকে কিছু একটা নিয়ে যেতে হবে। এটা শুধু আমার জন্য নয়, বাকি ১৫ জনের জন্য। ওদের ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওদের ইচ্ছার কারণেই হয়তোবা হয়েছে।’