বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
বিধিনিষেধের লকডাউনে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। রিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার সব কিছুই থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, কে কোথায় যাবেন। যথাযথ কারণ বলতে পারলে গন্তব্যে যেতে দিচ্ছেন। আর না বলতে পারলে পথ থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। দেখতে চাইছেন ‘মুভমেন্ট পাস’।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ রাস্তায় বের হলেই পুলিশ জানতে চাইছে ‘মুভমেন্ট পাস’ আছে কি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে জানতে চাইছে কী কারণে বা কি কাজে বের হয়েছেন। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া যদি কেউ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল, কভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ভ্যান বের করলে মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। প্রধান সড়কে কোনো রিকশা যাত্রী নিয়ে এলে, যাত্রী নামিয়ে রিকশা ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
মো. হিমেল ঢাকা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। থাকেন শেওড়াপাড়ায়। হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছেন মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে। লকডাউনে বাসা থেকে কেনো বেরিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টিউশনি পড়াতে যাচ্ছি মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে। শেওড়াপাড়া থেকে হেঁটে এসেছি পড়াতে যাব বলে। লকডাউনে সপ্তাহে দু’দিন পড়াতে হবে, নাহলে আমার টিউশনিটা চলে যাবে, এজন্যই বাসা থেকে বের হয়েছি।
নাঈমুর রহমান ও শহীদুজ্জামান লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। তারা বলেন, একজন যাবেন বিদ্যুৎ বিল দিতে। অন্যজন মোটরসাইকেল মেরামত করতে বের হয়েছেন। কাজেই বের হয়েছি, তারপরও আমাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু পুলিশ কোনো কথাই শুনবে না। শুধু বলছে, লকডাউনে কেন বের হলেন। এ কাজ তো আপনারা পরেও করতে পারতেন।
কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা বলেন, মানুষ লকডাউনে ঘরে থাকছেন। কিছু মানুষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। যথাযথ কারণে ঘর থেকে বের হলে আমরা তাদের যাতায়াত করতে দিচ্ছি।