এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (০৯ জুন, সন্ধ্যা ০৭.০০ টা) পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এর হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যার বিপরীতে বাংলাদেশে টেস্ট করা হয়েছে মাত্র ৩৬,৭৩৯ টি। যেখানে ডেনমার্কে করা হয়েছে ১০,৩৯১,৮৮০ টি, অস্ট্রিয়াতে করা হয়েছে ৫,১২৭,৪৩৭ টি, আরব আমিরাতে ৫,২১২,২৭৩ টি, বাহরাইনে ২,৭০৭,৫৩৯ টি। যুক্তরাজ্যে করা হয়েছে ২,৭৮৮,৪৮০ টি এবং সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ১,৪৭৩,২৪৬ টি!
শুধু তাই নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে (সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয়, যুক্তরাষ্ট্রের ঠিক পরেই) করা হয়েছে ২,৬৫,৮১৪ টি টেস্ট যা বাংলাদেশের চেয়ে সাত গুণেরও অনেক বেশি। পাকিস্তানে ৬০,৭৫৮ টি যা বাংলাদেশের দেড় গুণেরও অনেক বেশি। নেপালে ১,০৬,৯০৭ টি যা বাংলাদেশের প্রায় তিন গুণ বেশি।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মোট জনসংখ্যার বিপরীতে টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
এ পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে যতো বেশি টেস্ট করা হবে, ততোই বেশি হারে করোনা রোগী শনাক্ত হবে। যা করোনার বিস্তাররোধ এবং মৃত্যুহার কমানোর জন্য অতীব প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল।