নতুন শনাক্ত হওয়া এই ধরনটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএ পয়েন্ট ২ পয়েন্ট ৮৬। যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক ও ইসরায়েলে এই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে বলে বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
একই দিন পৃথক এক টুইটবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া বিএ পয়েন্ট ২ পয়েন্ট ৮৬ ভাইরাসটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং’র তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিউস্টন মেথোডিস্টের ডায়াগনস্টিক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পরিচালক ড. এস ওয়েসলি লং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের যে ধরনটি আধিপত্য করছে সেটির নাম এক্সবিবি পয়েন্ট ১ পয়েন্ট ৫। বিশ্বের প্রায় সব রোগীই এই ধরনটিতে আক্রান্ত।’
‘এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ মাত্র ৩টি দেশে হাতে গোনা কয়েক জন রোগীর দেহে নতুন এই ধরনটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। প্রাথমিক গবেষণায় আমরা জানতে পেরেছি— এক্সবিবি ১ পয়েন্ট ৫ ভাইরাসটির ৩৬ বারের মিউটেশন শেষে উদ্ভব হয়েছে নতুন এই ভাইরাসটির এবং মহামারির প্রথম দিকে যেসব ধরন আধিপত্যশীল ছিল, সেগুলোর সঙ্গে নতুন ভাইরাসটির সাদৃশ্য রয়েছে।’
‘নতুন বিএ পয়েন্ট ২ পয়েন্ট ৮৬ ভাইরাসটির বর্তমান আধিপত্যশীল ধরনকে সরিয়ে বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম কিনা—সেটিই এখনকার গবেষণার প্রধান বিষয়,’ রয়টার্সকে বলেন ড. লং।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড হাচিনসন ক্যানসার সেন্টারে কর্মরত ভাইরাস গবেষক জেস ব্লুম। রয়টার্সকে ব্লুম বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভাইরাসটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং টিকা সুরক্ষাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।’
রয়টার্সকে ড. লং বলেন, ‘সবচেয়ে বড় উদ্বেগের ব্যাপার হলো, আমারা ভেবেছিলাম যে মহামারির ধাক্কা কেটে গেছে। নতুন এই ভাইরাসটির উপস্থিতি সেই ধারণার মূলে আঘাত করেছে। সামনে হয়তো ফের করোনার ঢেউ দেখতে হতে পারে আমাদের।’