বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : জামালপুরের সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২/১৭ বছরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য হাসপাতাল ও নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল। ৮ জানুয়ারী যমুনা উচ্চ বিদ্যালয়, দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বারইপটল উচ্চ বিদ্যালয়, শুয়াকৈর জমশের আলী উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ও বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিলো।
সরিষাবাড়ী হাসপাতালের কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১০টার সময় কয়েকজন উশৃংখল ছেলে তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীকে সিরিয়াল ভেঙ্গে আগে ভ্যাকসিন দেয়ার দাবী জানায়।না দেয়ায় তারা কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও ভলান্টিয়ার এর সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে জানাযায়। এ সময় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ সাহেদুর রহমান ঐ ছেলেদের বুঝিয়ে শান্ত করতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু ১৫ মিনিট পরে আরও ১৫/২০জন ছেলেদের নিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাক্তার কর্মচারীদের মারধর ও দরজা জানালার কাচ ভাংচুর করে। তারা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাহেদুর রহমান, ইপি আই কর্মকর্তা (ইনচার্জ)শামসুজ্জামান খান, গাড়ীচালক হৃদয়, গাড়ীচালক (এম্বুলেন্স চালক) হারুনসহ আরো কয়েকজন লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার পরেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম যথা সময় পর্যন্ত চালু রাখা হয়।
হাসপাতালের টি এইচ ও ডাক্তার গাজী রফিকুল আলম বলেন, যারা এই হামলা করেছে তাদের তাৎক্ষণিক কোন নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি থেকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। তিনি হাসপাতালের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রকিবুল হাসান জানান, থানায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।