বুধবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভ বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিছু ব্যবসায়ী এবং দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হরিলুটে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় খাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে যখন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, আর শত শত কোটি মানুষ ছিল মৃত্যু ভয়ে ভীত, সেই ভয়ানক পরিস্থিতিও নিশিরাতের সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি থেকে সরাতে পারেনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় সংসদে একাধিকবার কোনো কোনো সংসদ সদস্য টিকার দাম জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ননডিসক্লোজার’ চুক্তির কারণে টিকার দাম প্রকাশ করা যাবে না। আবার তিনি টিকা নিয়ে একেক সময় একেকটা বিভ্রান্তিকর কথা বলে মানুষকে বেকুব বানানোর চেষ্টা করেছেন। গত ১০ মার্চ রাজধানীর জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে কিডনি দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার টিকা কেনা ও টিকাদান কার্যক্রম মিলে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া গত কয়েক মাসে একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, টিকা কেনায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এটা থেকে যে কেউ অনুমান করতে পারেন ২৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির আসল রহস্য।
তিনি দুদকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানির জন্য ওঁৎ পেতে থাকা দুদককে বলব— তদন্ত করে ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসাব বের করুন।