বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে সংক্রমণ বাড়ছে মৃত্যু। তবুও গ্রামের মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। এক কাপ চা অথবা আড্ডা দেওয়াসহ নানা অপ্রয়োজনে গ্রামের বাজারগুলোতে ভিড় করে মানুষ। প্রায় বেশীরভাগ মানুষের মুখেই থাকে না মাস্ক। এ পরিস্থিতিতে গ্রামের বাজারগুলোতে প্রশাসনের দুর্বল নজরধারীর সুযোগে প্রায় দোকানই খোলা থাকে রাত পর্যন্ত।
এবার করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করতে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে বাউল শিল্পীরা। এই জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে ভ্যানে করে বিভিন্ন বাজারের এ প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত পর্যন্ত ছুটছে বাউল শিল্পীরা। গানের সুরে সুরে বোঝাচ্ছেন করোনাভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর।
আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের বাউল আব্দুল খালেক চাঁন সঙ্গীত একাডেমির শিল্পীদের দেখা যায় করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন সুরে তালে ভ্যানে করে গান পরিবেশন করছেন। পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করছেন। বর্তমানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে বেকার দিন পাড় করছেন বাউল শিল্পীরা। সময়টাকে কাজে লাগাতে করোনা প্রতিরোধে এবার বাদ্য যন্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লেন তারা। উনাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বাউল আব্দুল খালেক চাঁন বলেন, করোনা শুরুর পর থেকেই গানের অনুষ্ঠান নেই বললেই চলে। করোনা পরিস্থিতিতেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। যে যেভাবে পারছে ঘুরছে। সেই চিন্তা থেকেই মনে হলো করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের কিছু করা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই আমি কিছু গান লিখে মাঠে নেমে পড়ি। মানুষের মধ্যে গানে গানে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যদি একজনও আমাদের এই কাজে সচেতন হয় তাহলেই আমাদের কার্যক্রম স্বার্থক হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, বাউল শিল্পীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। মানুষ সাধরণ কথা যতটুকু শুনে, তার চেয়ে গানের সুরে সুরে বলা কথাগুলো শুনে বেশী। একমাত্র সচেতনতায় পারে এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের মুক্তি দিতে।